শাহেনশাহ হারুনর রশীদ ও স্ত্রী জুবায়দা
সমুদ্র সৈকতে ভ্রমনে গিয়েছিলেন একদা।
বাহলুল নামে ছিল এক পাগল বা দরবেশ
সবাই জানে, অদ্ভুত কাজের তার নেই শেষ।


সমুদ্র সৈকতে সেদিন একমনে বালুকায় বসে
সুরম্য বালুর প্রাসাদ গড়ে, বাতাসে যায় ধ্বসে।
শাহেনশাহ শুধালেন, কী করো ওহে বাহলুল?
বেহেস্তের প্রাসাদ গড়ি - উত্তর যেন তার নির্ভুল।  


শাহেনশাহ হেসে বলেন, এ এক আস্ত পাগল
যা ইচ্ছা তাই করে, আর বকে আবল-তাবল।
বাহলুল ব্যস্ত - শাহেনশাহ এগুলেন সম্মুখে -
স্ত্রী জুবায়দা দাঁড়িয়ে দেখেন ক্ষণ মনের সুখে।


শুধান শেষে, কী দামে বেঁচো বেহেস্ত তোমার?
বাহলুল বলে, দাম তার মাত্র একটি দিনার।
জুবায়দা দিলেন একটি দিনার বাহলুলের হাতে
অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেন শাহেনশাহ সেদিন রাতে।


জুবায়দা আছে এক সুরম্য বেহেস্তের প্রাসাদে
আনন্দে হাঁটে, গায় ভেতরে - শাহেনশাহ বাদে।
শাহেনশাহ বলেন, যেতে দাও ভেতরে হে দ্বার-রক্ষী
রক্ষী বলে, আদেশ নেই ভেতরে যায় এক পক্ষী।


ঘুম ভেঙে শাহেনশাহ স্বপ্নের অর্থ কী তা বোঝেন
প্রাতেই সমুদ্র সৈকতে যেয়ে বাহলুলকে খোঁজেন।
দেখেন বাহলুল সেথা তখনও বালুর প্রাসাদ গড়ে
শাহেনশাহ একটি তার কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করে।


বাহলুল জানায়, বেহেস্তের দাম আজ অতি উচ্চ
মূল্য দিতে তার শাহেনশাহের সাম্রাজও তুচ্ছ।
রাগে ক্রোধে শাহেনশাহ করে ওঠেন চিতকার
এতো মূল্য আজ কেন- কাল ছিলএকটি দিনার?


বাহলুল উত্তর দেয়, কালকের মূল্যটা ছিল যার -
প্রমানহীন অদৃশ্যে বিশ্বাসের - মাত্র একটি দীনার।
আজ তা প্রমানিত - পরিণত তাই বাজারের পণ্যে -
কিনতে পারো তুমি অল্পদামে যদি বেঁচে অন্যে।