লাল সবুজের পতাকা আজ উড়াই উঠানে
কিংবা উচ্চ ছাদের উপর ইচ্ছা যেখানে।
প্রবল ছিল ইচ্ছা যাদের সেদিন মায়ের গানে
এই পতাকা আনলো তারা চরম বলিদানে।


সেই বলিদান ছিল শুধুই মাতৃভুমির তরে
রক্ত মেখে তাইতো আজও শিমূল পলাশ ধরে।
সেই রক্তে সকাল সাঁঝে সূর্যটা হয় লাল
কিষাণ কণ্ঠে সোনার বাংলা - চালায় যখন হাল।


ঠোঁটের কথায় ভালোবাসা যায় কি বাংলাকে
কাজেও যদি ত্যাগের ইচ্ছা অন্তরে না থাকে?
যার অন্তরে থাকে নিটোল আত্মত্যাগের বাস
তাদের হাতে কী করে হয় দেশের সর্বনাশ?


কোন্ অন্তরে দেশের সম্পদ করে আত্মসাত
কোটি মানুষ পায় না যেথায় নিত্য দুটো ভাত?
কোন্ অন্তরে দেশের ধনে বিদেশে দেয় পাড়ি
দেশের ধন আর অসৎ ঘুষে কেনে সেথায় বাড়ি?


দেশের বুকে গরীব চাষীর কোটি ছেলেমেয়ে
শিক্ষাবিহীন, রোগে মরে দুইবেলা না খেয়ে।
সেই দেশেরই নেতারা যায় সকাল-বিকাল বিদেশ
দেশের ধনের চিকিত্সাতে শরীর রাখে সরেস।


দেশের ধনে তাদের সন্তান বিদেশে নেয় শিক্ষা
দেশ হলে শেষ বিদেশ আপন - এ তো তারই দীক্ষা।
এই নেতাদের উদার কণ্ঠে বিজয়ের এই মাসে
জানবে সবাই দেশকে তারা কত্তো ভালোবাসে।


দেশকে তারা ভালোবাসে, কথাও মিথ্যা নয়
দেশের সম্পদ নিজের করার এমন দেশ কী হয়?
কোথায় পাবে বিদেশী ব্যাংক ভরতে রাত্রিদিন
দেশের সম্পদ নিজের নামে এমন বিরামহীন?


এ মাস ভরে এদের হাতে উড়বে রক্ত-পতাকা
ত্যাগের আসন অন্তরে নেই, মুখের বুলিও ফাঁকা।
মহা-জাতক এদের ঘরেই আসবে নবজাতক
সুদূরকালে তারাও হবে মহা-বিশ্বাসঘাতক?