মনের মাঝে হঠাৎ শুনি কার যেন এক রুদ্র ডাক
বাইরে চেয়ে অবাক হেরি দাঁড়িয়ে আছে কালবৈশাখ।
শীতের জমা তুষার গলে জলের ধারা গেছে বয়ে
নতুন কুঁড়ি, পাতার নাচন সুখ বসন্তে উদাস হয়ে।


এখনো যে কোকিল খোঁজে হারিয়ে যাওয়া প্রাণ বধূরে
বেতাল ভ্রমর ফুলের বুকে মাতাল পিয়ে তার মধু রে।
রুদ্র হঠাৎ গর্জে ওঠে, থামা সরস প্রেমের খেলা
জীর্ণজ্বরা গুড়িয়ে ফেলে এখন নতুন গড়ার বেলা।


শক্ত যারা বাইরে দাঁড়া ভাঙার নাচন হলো শুরু
বজ্র ক্রোধে আগুন ঝরে, ধরার খরায় দুরু দুরু।
পুড়বি ঘুমে, না উড়বি এবার, ভালো করে ভাব্ রে মন
সুখের নাচন শেষ হয়েছে, কালবৈশেখীর হবে নাচন।


ঝড়ের নাচে যাবেই উড়ে যা জমেছে বালুর স্তূপ
জ্বলছে আগুন দাবানলের, কি হবে তোর গন্ধ-ধূপ?
শ্রাবণ যদি ভেজায় শেষে ভিজবো না হয় আগামীকাল
পুড়ার ভয়ে কেউ যদি দেয়, আজকে না হয় দিক তারা গাল!


জীর্ণজ্বরা যা কিছু সব আজকে তাদের ভাঙন চাই
বোশেখ গেলে সারা বছর কোথায় বল্ আর আগুন পাই?
শালের বনে আগুন লেগে পুড়লে নতুন চারা গজায়
ভাঙার শেষেই মানুষ এসে একসাথে হয় গড়ার ধ্বজায়।


আয় রে সবাই সেই আগুনে মধুর লোভী ভ্রমর পুড়াই
মিথ্যা যা সব কবর দিয়ে সেথায় জয়ের কেতন উড়াই।
বিভেদ ভুলে জগৎ মিলুক আজ বোশেখের সকালবেলায়
প্রাণের টানে বাইরে এসে সব মানুষের মিলন মেলায়।


নিজেকে আজ ছড়িয়ে দিবি সব মানুষের বিশ্ব 'পরে
দেখবি তখন বিশ্ব এসে দাঁড়িয়ে আছে নিজের ঘরে।