বলদ চেনে বাঁশের লাঠি, অশ্ব জব্দ চাবুকে
ঘুর্ণি ঝড়ে চূর্নি উড়ায় দখলদারীর তাবুকে।
ভুত নাকি কাঁদে নাঁকি-কান্না হলুদ পোড়ার গন্ধে
মারের চোটে উধাও ছোটে ভুতের বাবাও খন্দে।


অত্যাচারী পড়ে না কবিতা, বোঝে না প্রতিবাদের ভাষা
ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেবে, সেও নিতান্ত দুরাশা।
অত্যাচারী পূর্বপুরুষ - নামে যত হোক রহমান
মানব রক্তে রেখেছিল তারা পদ্মা-মেঘনা বহমান।


সকালে বিকালে মানব-রক্তে করেছিল তারা নাস্তা
অত্যাচারীর পিতৃপুরুষ - যত ভাবি ছিল ফেরেস্তা।
তারাও একদিন ভেবেছিল অটল তাদের সিংহাসন
অতল তলে তলিয়েছে তা বাংলার গণ-আন্দোলন।


ক্ষুধার্ত মানুষ সব খেতে পারে, পারেও দেশের মানচিত্র
মজলুম যারা জালিমকে তারা করে না নিজের মিত্র।
মুখ বুজে আজ যারা খেয়ে যায় তোদের লাঠির মার
তাদের লাঠিই তোদের লংকা করবে কাল ছারখার।


কবির কবিতা ব্যর্থ হলেও ব্যর্থ হয় না চাষা
তাদের লাঠি চিরকাল বলে দিন-বদলের ভাষা।
অত্যাচারী বলদ তোরা - যত হোক শিং খাড়া
তাদের হাতের লাঠির ঘায়ে কাল হবি দেশ ছাড়া।
------------
রহমান - দয়ালু