বিদায়ের আগে হোটেল লবীতে শুনি কিছু গোলযোগ
বিদায়ী অতিথির হয়নি তেমন এ হোটেলে উপভোগ।
ডেস্কে বসা রিসেপশনিস্ট বিব্রত এক মেয়ে
শংকিত মনে দুঃখের সাথে যায় শুধু ক্ষমা চেয়ে।
অখুশী বাবুর বিদায় শেষে এবারে আমার পালা
সেই মুখে ফের হাসিতে ঝরে যেন মুক্তোর মালা।
একই নিয়মে শুধালো আমায়, কেমন কেটেছে সময়
হাসি মুখে বলি, প্রতিদিন যেন এমনই সুখের হয়।


ট্যাক্সি তখন এগিয়ে চলেছে এয়ারপোর্টের পথে
মনের ভেতর সেই হাসিমুখ ভাসে যেন কোথা হ'তে।
ছয়টি দিনের যতবার তারে দেখেছি আসতে যেতে
মুক্তোঝরা হাসিতে যে তার, এ প্রাণ থেকেছে মেতে।
আমারই মত কত না হাজার অতিথি আসে ও যায়
আমার মতই সকলেই তার একই হাসিমুখ পায়।
কেউ কোনদিন ভেবেও দেখেনি, কী ব্যথা লুকিয়ে বুকে
নিজের হাসিকে বিলিয়ে গিয়েছে কত না পরের সুখে।
তাদেরই কারোর একটু হলেই নিজের সুখের ব্যাঘাত
অকারণেই সেই অসহায় মনে দিয়ে যায় ফের আঘাত।


জানি ওগো মেয়ে, ভুলে গেছো তুমি আমারে এতক্ষণে
তুমি ভুললেও তোমার সে হাসি রেখে দিলাম এই মনে।
যে ভাবে ভাবুক, তোমার হাসিটি দাম দিয়ে গেল কিনে
আমি জানি শুধু সবই কেন যায় তোমার হাসিটি বিনে।