মনের মাঝে ভাবনা এলো আজ সকালে উঠি
লিখবো নাকো কবিতা আজ নিলাম গো তাই ছুটি।
ভাববো নাকো ভাবের কথা কিংবা হাজার ছন্দ
পড়বো নাকো কারো লেখা - কী ভালো কী মন্দ।
যাইবো নাকো অনেক দূরে, নেইকো কোন তাড়া
ধীরে সুস্থে কয় পা ফেলে একটু যা ঘর ছাড়া।
পিচ ঢালা ওই পথটি হেঁটে গড়বো নতুন স্মৃতি
চরণ জানি কাঁদবে খুঁজে রাঙা মাটির প্রীতি।

পথের পাশের সবুজ ঘাসে রাতের শিশির কেঁদে
হয়তো স্মৃতির ভাবালুতায় রাখবে ক্ষণিক বেঁধে।
সবুজ ধানের ক্ষেত পেরিয়ে বসবো নদীর তীরে
দেখবো তালের গাছে আজও বাবুই পাখি নীড়ে।
পিঁপড়েগুলো ব্যস্ত আজও করছে আনাগোনা
মুখে মুখে কি কথা হয়, হয়নি আজও শোনা।
হাঁসের পিঠে হাঁসটি বয়ে কী আনন্দ পায়
পাশের ঝোপে আজও ডাহুক বিরহ গান গায়।

একটুখানি বাতাস এলেই নদীর বুকের জল
আজও কেমন থির থিরিয়ে কাঁদে যে টলমল।
বুকটা অনেক শুকিয়ে গেছে তাই কি এতো ব্যথা
নদীর ঘাঁটে নেই বধূগণ - সয় না নীরবতা?
স্মৃতির চোখে কলসি কাঁখে কোন সে মেয়ে ভাসে
কোন শিহরণ পাবে এমন ফের যদি সে আসে?
ঘরহারা এক বাউল ভাবে সবখানে তার ঘর
গাঁ পেরিয়ে মাঠ ছাড়িয়ে ভাসে গানের স্বর।


মেঘের তরী আজও তেমন নিরুদ্দেশেই হাঁটে
ঘরে ফেরার নেই কি তাড়া, পথেই সময় কাটে?
দূর দিগন্তে দেখবো চেয়ে আকাশ মেশে ধরায়
ভাববো তবু আকাশ কেঁদে বৃষ্টি কেন ঝরায়?