(উত্সর্গঃ কবিবন্ধু অনিরুদ্ধ বুলবুল, যার 'আশার তরী' লিমেরিকে মন্তব্য দিতে গিয়ে বেশ কিছু লাইন লিখেছিলাম)
----------------------------------------------------


প্রভাতে জাগিয়া সমুখে চাহি
দেখিনু নদীতে নৌকা নাহি
ভাবিনু, কেমনে হইব পার?
কে যেন কহিল, ভেবো না আর
এখনি আসিবে আশার ভেলা
তাহাতে তুমি ভাসিবে একেলা
ক্ষণিকে দেখিবে শতজন সাথে
ক্ষণপরে ঠাঁই পাবে না তাতে।
উঠিনু ত্বরা সেই সে ভেলাতে
মাতিনু সহসা দোলন খেলাতে
দুলিতে দুলিতে চলেছি ভাসিয়া।
সহসা সেথায় কে যেন আসিয়া
কহিল হাসিয়া আমি এক কবি
ভাসিলাম ফেলি জগতে সবই।

চারিদিকে দেখি ফুঁসিছে জল
ভাসে, ডোবে ভেলা ছলাৎ ছল।
হুহু বেগে ঝড় আসিছে ধেয়ে
গগন গেলো কালো মেঘে ছেয়ে
মাঝে মাঝে সাথে বজ্র ডাকে
ক্রুদ্ধ বিজলি হাসে তার ফাঁকে।
ক্ষণে ক্ষণে জাগে বুকে সংশয়
সলিল সমাধি এই বুঝি হয়!

ভয়েতে বুকে ধরিল কাঁপন
চাহি না চাহি না এমন যাপন।
কহিনু কাতরে, ওহে কবিবর
নাহি দেখি কূল, নাহি দেখি ঘর
দিনমনি নিচে গিয়েছে নেমে
দিনের খেলা যাবে যে থেমে
আর কতদূর চলিব ভাসিয়া?
সহসা কবি কহিল হাসিয়া,
যখন যে উঠে আমার ভেলায়
ফেরে কি কখনো আর সে কুলায়?