মোটা মাথা, বড় মুখী, ছোট কানে রং সাদা
দুই পায়ে খাড়া হয়ে শহরেতে এলো গাধা
হুট্ করে ভুট খেয়ে চোখে তার লাগে ধাঁধা।
ভাবে কম, সারাক্ষন বগ  বগ বকে বেশী
রাজনীতি নয় প্রীতি, ফুলায় সে বাহুপেশী
মেদে ভরা ভুঁড়ি নিয়ে নিজেকে সে ভাবে হাতি!
মার্, মুখে মার্ লাথি।


বানরের বেচা কেনায় করে করে ঠক বাজি  
বক সেজে ধ্যান করে মাছ খেতে চায় আজি
জাতে চোর রাতে এসে বিচারের হয় কাজী।
দেহে পরে রাজহাঁসের সুন্দর সাদা-বাস
নিজেকে সে নিজে দেখে মনে করে রাজঁহাস
ভুলে যায়, হাঁস হলেও আসলে সে জাতে পাতি!
মার্, মুখে মার্ লাথি।


খরগোশ যত সাজুক সিংহের মহাসাজ
সিংহের সম্মুখে যেতে সে যে পায় লাজ
চারিদিকে বেড়া ঘেরা খাঁচা তাই চায় আজ।
মাঝখানে বসে সেথা গাধা দেয় হুংকার
ভেড়াগুলো ভে ভে রবে চেটে দেয় পুং তার
মগজহীন মাথা যার, মাপে বুকে কত ছাতি!
মার্, মুখে মার্ লাথি।


কত হাতি, কত ঘোড়া শহরেতে গেলো তল
হুট্ করে মশা এসে বলে হেথা কত জল
শহরের লোকজন জানে ঠিকই তার ফল।
শান্তির ধর্মেতে কুৎসার ফাঁদ এঁটে
যে করেছে গলাবাজি, গলা তার গেছে ফেটে
ফেরাউন, লাহাবের অচিরেই হবে সাথী!
মার্, মুখে মার্ লাথি।


আয় ছুঁটে আয় তোরা এ বিশ্বের অধিবাসী
বল, ওরে অসভ্য! নই তোর দাস-দাসী
সত্যকে বাঁচাতে হাসিমুখে পরি ফাঁসি।
মরে আছি আমরা, আর একবার মরবো
টুটি ধরে তবু তোকে ধরা ছাড়া করবো
বিভাজন নীতি ফেলে, মানুষ হবে এক জাতি!
মার্, মুখে মার্ লাথি।