বাহলুল যায়, যেথা যান জাহাপনা
যাওয়ার আগে কত পরিকল্পনা।
আগে যায় গুপ্তচর আনিতে খবর
তারপর সেথা যায় সৈন্যের বহর
সবকিছু হলে সেথা পুরো নিরাপদ
শেষে যান জাহাপনা, সাথে সাংসদ।
বাহলুল অতি বোকা সকলেই জানে
তার সরল বোকামি আনন্দ আনে
জাহাপনার মনে আর সাংসদ দলে;
সেই হেতু বাহালুল রাজ্ সাথে চলে।


একদিন জাহাপনা অসুস্থ বিছানায়
সংবাদে বাহলুল উদ্বিগ্ন চোখে যায়।
শুধাইল, কি হয়েছে ওহে জাহাপনা
আপনার চোখে দেখি একি যন্ত্রণা?
ব্যবস্থা করিলে কোথাও প্রমোদ-যাত্রা
কমিবে কি জাহাপনার কষ্টের মাত্রা?
অতি কষ্টে মৃদু হাসি জাহাপনা কয়
বাহলুল, এ মোর শেষ যাত্রা মনে হয়।
একবার যে গিয়েছে সে নদীর তীরে
সেথা হতে কখনো আসে না ফিরে।


বাহলুল শুধায়, গিয়েছে কি গুপ্তচর
যেখানে যাবেন তার আনিতে খবর?
পাঠানো হয়েছে কি সেথা সেনাদল
দেখিতে নিরাপদ কিনা সেই স্থল?
সাথী হবে কে কে হয়েছে কি ব্যবস্থা?
সহসা ঘরে নামে স্তব্ধ নীরবতা।


অতঃপর অতিকষ্টে কন জাহাপনা -
সে যাত্রার হয়নি কোন পরিকল্পনা।
কোথায় যাবো তাও হয়নি দেখা
সাথীহারা যেতে হবে একান্তই একা।
নিইনি সে যাত্রার কোন প্রস্তুতি
হতে পারে ভয়ানক এ আমার শ্রুতি।


নীরব থাকিয়া বাহলুল অবশেষে
কহিল বোকার মতো সহসা হেসে;
ভেবেছিনু জাহাপনা অতি বুদ্ধিমান
আজ দেখি বোকা নাই তোমার সমান
যেখানে যাবেন একা চিরদিন তরে
নেননি কোনোই প্রস্তুতি এতদিন ধরে!


রচনা: ২১ আগস্ট, ২০১৬