সবার মুখে শুনেছিলাম আছে হেথায় ঘর
যে আসে রয় আপন হয়ে, কেউ থাকে না পর।
শুনেছিলাম ক্লান্ত দেহে হেথায় যারা আসে
স্নিগ্ধ শীতল তরুলতার ছায়ায় বসে হাসে।
জ্যোৎস্নারাতের মুক্ত আকাশ ঝরায় আলোর বান
প্রাণের সাথে প্রাণ মিলিয়ে তার নিচে হয় গান।
চাঁদের আলোর খেলা শেষে পাখি প্রভাত আনে
ঘুমন্তরা নতুন আশায় জাগে নতুন প্রাণে।


দিগন্তে চোখ রেখে হেথায় দেখেছিলাম ছায়া
হাত ইশারায় ডাকছে যেন দাঁড়িয়ে বিমল কায়া।
ভেবেছিলাম হেথায় এসে সবার সাথে মিশে
সবার সাথে কণ্ঠ দেবো সবার গানের শিসে।
সুদূর পথের লু-হাওয়াতে তপ্ত রোদে পুড়ে
পৌঁছে হেথায় চেয়ে দেখি সকল গেছে উড়ে।
তৃষ্ণা বুকে যেদিক তাকাই বালির পাহাড় শুধু
তৃষ্ণা আরো দ্বিগুন বাড়ায় নিঠুর মরুর ধুধু।
কাঁকড়া বিছা, সর্প এসে তোলে বিষের ফণা
আমি যে নই তাদের মতো তাদেরই একজনা।


সূর্য এখন অস্তাচলে, আভা বালুর পরে
সোনার পাহাড় দিগন্তে ফের হাত ইশারা করে।
ওরে পথিক! কোন আশাতে মহাকালের রথে
ঘূর্ণিঝড়ে পথ হারাতে নামবি আবার পথে?
মহাকালের বুকে জীবন ক্ষুদ্র - মরীচিকা
মরণ সেথা জ্বালায় এসে পূর্ণতার এক শিখা।