ভেসে আছি স্থায়ীত্বহীন শূন্যে
চেয়ে আছি অদৃশ্যমান শূন্যের পানে
যেটুকু আমিত্বের অস্তিত্ব
তা শুধু অনুভব করি নোঙরের টানে।


সুখ, দুঃখ, আনন্দ, বেদনায়
অনুক্ষণ হাসে আর কাঁদে যে চিত্ত
সহস্র ব্যবচ্ছেদে তন্ন তন্ন করে খুঁজে
পাইনি তার এতোটুকু অস্ত্বিত।


শিখরের জলকণা আমি,
ঢেউ শুধু সমুখে ফেলে দিতে উদ্গ্রীব
সমুখে এগুনোর ক্ষীণ সুতো খুঁজে
নিজেকে দেখি শেষে হৃত, ভঙ্গুর-ক্লীব।


নোঙরের শেকলটা বেয়ে
যখন পেছনের দিকে ধীরে হাঁটি
অনেকের মাঝে খুঁজে পাই আমাকে,
যতোই পঙ্কিল হোক জল, স্পর্শ করি মাটি।


সে মাটির স্পর্শে বলতে পারি,
এইতো আমি, এইতো আমার অস্তিত্ব
পেছনের শেকলটা দীর্ঘ করতে
সম্মুখে শূন্যের দিকে হেঁটে চলি নিত্য।  


পেছনে স্মৃতির শেকলটা যদি
কোনদিন, কোনভাবে হয়ে যায় নিশ্চিহ্ন
আমিও রবো না, কিছুই রবে না,
চারিদিকে শুধু অস্পর্শী শূন্যতা ভিন্ন।