তোমার দু'হাতের কঙ্কন-বৃত্ত
মঙ্গল-বলয়ে রেখেছে ঘিরে এ জগত নিত্য।
কঙ্কনের কেন্দ্র যেমন তোমার দুই হাত
সংসারের কেন্দ্র হয়ে আছো দিনরাত।


উত্তাল সমুদ্রে দিশেহারা জাহাজ
লালসার ভারে ডুবন্ত জগত-সমাজ।
গন্তব্যের আলোঘর তোমার নাকফুল
সদাই দেখিয়েছে নিরাপদ কূল।


দুকানের লতিকায় ঝুমকার দোলনে,
কী প্রত্যয় যোগাও নিত্য আঁখি উত্তোলনে!
ধ্বংসাবশেষের বুকে দাঁড়িয়ে
শুধু তুমিই দেখাও জয়ের স্বপ্ন দুটি হাত বাড়িয়ে।
সম্ভাবনার জাদু-মন্ত্র ঢেলে দুই কানে
বিজয়ের সুর দাও পরাস্তের প্রাণে।


ভাগ্যের পরিহাসে ব্যর্থ, হতোদ্যম
জীবনের চেয়ে মৃত্যু শ্রেষ্ঠ - মনে আসে ভ্রম -
জীবনের গতি চলে নরকের পথে।
তোমার সুকোমল মনে কোথা হতে
শক্তি পাও পথহারা পুরুষের কানে দিতে নির্দেশ -
হও আগুয়ান, সবকিছু হয়নিকো শেষ!


ভয়, দুঃখ, ব্যথা কীভাবে লুকাও তোমার নম্র বুকে
সবার মাঝে নিজেকে বণ্ঠনের সুখে?


নরকের কীট তবু আসে, করে যায় ক্ষত-বিক্ষত
পড়ে রও অবহেলায়, অকালে নষ্ট ফুলের মত।
সময় এসেছে আজ, তোলো উদ্ধত ফনা
দেখাও তুমি অক্ষম নও ঘুচাতে নিজ বঞ্জনা।


জানি, ওহে কোমল-চিত্ত মহিয়সী নারী
প্রয়োজনে নিতে পারো হাতে তরবারি।
যেই হাতে করো সদা সংসারে সুখ বণ্ঠন
নরকের কীট যদি করে তার কিছু লুণ্ঠন
বধিতে সে কীট তোমার যোগ্যতা প্রশ্নাতীত
শুধু আজ ঝেড়ে ফেলো মহাকালের সংশয় ও ভীত।