নবান্নের উত্সব আজ বাংলার ঘরে ঘরে
সকাল সন্ধ্যায় পিঠা খাই তাই মজা করে।
কত রকম পিঠা-পুলি মা-বোনেরা বানায়
কাব্যরসে তারই কটি সকলকে জানাই।


চিতই পিঠা
---------
ভিজানো আতপ চা'ল নিই আগে পিষে
লবন আর জলে যেন যায় ঠিক মিশে।
তাওয়ায় ঢেলে দিয়ে তার থেকে কিছু
ঢাকনাতে ঢেকে দিয়ে, জ্বাল দিই নীচু।
খেজুর গুড়ের সিরায় গরম দুধ ঢেলে
দারুচিনি, এলাচিতে ভিজিয়ে তা খেলে
এই হয় দুধে-গুড়ে বাংলার চিতই পিঠা
রসে রসে এই পিঠা খেতে ভারী মিঠা।


পুলি পিঠা
---------
গরম জলে চা'লের গুঁড়ো নিই আগে মেখে
ছোট ছোট রুটির মাঝে নারকেল রেখে
বানাই আগে কয়েকখান ছোট ছোট পুলি
এলাচি ও চিনি দুধে ফুটিয়ে তা তুলি
ঠান্ডা হলেই মজা করে খাই পিঠা গুলি
বাংলার ঘরে ঘরে নাম তার পিঠা দুধ-পুলি।


পাটি সাপটা
----------
চা'লের গুঁড়া সিদ্ধ করে দুধে এবং গুড়ে
একটু জ্বালে জমাই ক্ষীর জলটা গেলে উড়ে।
আটা, চিনি, জল মিশিয়ে তৈরী করি গোলা
তেলো-তাওয়ায় গরম করি, হবে ফোলা ফোলা।
কিছুটা ক্ষীর একদিকে তার যত্ন করে ছড়াই
অন্য দিকটা ক্ষীরের উপর চ্যাপ্টা করে জড়াই।
এদিক ওদিক উল্টে-পাল্টে একটু করি গরম
পাটি সাপটা পিঠে নামটা, মধ্যে মিষ্টি-নরম।
জড়িয়ে জড়িয়ে বানানো, তাই জড়া পিঠাও বলে
মজা করে টাটকা কিংবা বাসি খাওয়াও চলে।


অন্যান্য
-------
আরও কত পিঠা আছে, নতুন গুড়ের পায়েস
লবঙ্গ লতিকা, মতিচূড় - খেতে কী যে আয়েশ!
একই পিঠা জায়গা-ভেদে ভিন্ন নামে খায়
ভিন্ন পিঠা জায়গা-ভেদে একই নামও পায়।
গ্রাম-বাংলার মা-বোনেদের পুরাণো পাকন পিঠা
যেমন নামে যেমন বানাও একই রকম মিঠা।