নবীর শত্রু এক সে বুড়ী ছিটায় পথে কাঁটা
পথের ধারে বসে দেখে রোজ নবীজির হাঁটা।
পায়ের কাঁটার ব্যথায় যখন নবীজি কাতরায়
মহানন্দে হাসে বুড়ী, আর গড়াগড়ি খায়।
বুড়ী ভাবে, দেখিনি তো আর এমন আজব লোক
এতোটা ব্যথা-কষ্ট পেয়েও নেই তাঁর অভিযোগ!


হঠাৎ একদিন নবী দেখে, নেই সে পথে কাঁটা
ভাবে নবীজি, এটা কী এক নতুন ফন্দি আঁটা!
কাঁটাবিহীন কদিন গেলে, নবীজির অন্তরে
হঠাৎ কেমন শংকা জাগে বুড়ীর মঙ্গল তরে।
শংকা নিয়ে দ্রুত গেল বুড়ী যেথায় থাকে
দেখে বুড়ী রোগে কাতর, দেখার নেই কেউ তাকে।


দয়ার সাগর, নবীজি মোর বুড়ীর সেবায় রত
বুড়ী ভাবে, নয়তো এ লোক শুনেছি যার মতো।
এমন একটা মানুষ যদি খারাপ মানুষ হয়
পৃথিবীর বুকে ভালো মানুষ নেই তবে নিশ্চয়।
বুড়ী কাঁদে, দ্বীনের নবী গো দেখাও সত্য-পথ
নবীজি বলে, করো তবে এক আল্লার এবাদত।


আমরা যদি দাবী করি, আমরা নবীর উম্মত
দয়া ও প্রেম দিতে হবে, ভুলে ধর্ম ও মত।


লেখার তারিখ: ৫ এপ্রিল, ২০১৬


**************************************
গতকাল প্রিয় কবিবর বন্ধু মো: সানাউল্লাহর 'মুক্তির শর্ত' কবিতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নবীজির জীবনের তিনটি পরিচিত কাহিনী নিয়ে তিনটি কবিতা লেখার মন:স্থির করি: নবীজির দয়া, নবীজির ধৈর্য্য, নবীজির ক্ষমা; যদিও এই তিনটি ঘটনার প্রত্যেকটিতেই নবীজির চরিত্রের তিনটি গুণেরই সমন্বয় ঘটেছে| এই সিরিজে আজকের প্রয়াস 'নবীজির দয়া'| আল্লাহ যেন নবীজির দয়া পরিপূর্ণরূপে প্রকাশ করার আমার যে অক্ষমতা তা যেন ক্ষমা করেন|