জাতে ইংরেজ ব্যবসায় তেজ, এসেছিল এই দেশে
ব্যাবসার নামে সস্তা দামে কিনিল এদেশ শেষে।
নানান ছলে অতি কৌশলে এদেশ করিল শাসন
দুইশ বছর এদেশের 'পর অটল রাখিল আসন।
মারিতে ভাতে স্বদেশীর হাতে করিল আবিস্কার
ভোগেতে বিলাসী যত না অচাষী তারা হবে জমিদার।


খাজনার দায়ে আর লাঠি-ঘায়ে কৃষক ডুবিল ঋণে
যার ছিল ভুঁই বিঘে তিন-দুই - জমিদার নিল কিনে।
কত প্রতিবাদে কান্নার নাদে কাঁপিল আকাশ-বাতাস
আজও নিশিদিন কাঁদে বিরামহীন শত শহীদের শ্বাস।
শেষে ইংরেজ গুটাইয়া লেজ ফিরিল নিজের দেশে
দুখে জমিদার করি' হাহাকার পটল তুলিল শেষে।


ভাবিল সবে এইবার তবে স্বাধীন দেশের বুকে
সকলে স্বজাতি তাই দিনরাতি সবে মিলে রবে সুখে।
যত দিন যায় সেই গুড়ে হায় মেশে যে অধিক বালি
ইংরেজদের ভুতেরাই ফের পুড়ায় আগুন জ্বালি'।
দেশে সরকার আসে বারবার ইংরেজী চেহারায়
উচ্চ দামে চাকুরীর নামে জমিদারী বেচে যায়।


আজও ইংরেজ জমিদারী তেজ সবখানেতেই দেখি
ইংরেজদের শিক্ষা যে ঢের, নয় কিছু তার মেকি।
সেই শিক্ষায় দেশ ঠিক যায় একই শোষণের পথে
রাজা ও মন্ত্রী খাওয়ার তন্ত্রী গরীবের ধন হ'তে।
সরকারী চাকর চেয়ারের 'পর দেয় জমিদারী ঘুম
খাজনার মত চলে অবিরত ঘুষ আদায়ের ধুম।


দুই বিঘে জমি সে মালিক কমই, তবুও যার যা আছে
রাজা জমিদারে প্রতিদিন কাড়ে শত উপেনের কাছে।
খায় মাছ ভাত ঘি-তে মাখা হাত, দেহটা খোদার খাসি
উপেন যাহারা হয় ভিটে ছাড়া, ধার্মিক-সন্ন্যাসী।
স্বাধীনতা নামে উপেনের আমে উপেনের অধিকার
আর কত দিন লজ্জাবিহীন খা'বে রাজা-জমিদার?