সারা জীবন মাথায় করে অনেক বোঝা টেনে
গর্তটা যেই ভরিয়ে দিলাম বালির বস্তা এনে
তখন এসে বললে তুমি, আমি কাজের নই
সারা জীবন কাজের পরে বালির পাহাড় কই?


জোষ্ঠে ফাঁটা গর্তখানায় ফেলি চোখের জল
সাগর সম পিপাসা যার, ভেজে কি তার তল?
এখন এসে দেখলে শুধু গর্তটা নেই ভরা
বুঝলে তুমি শোক বিহনে হয়নি চোখের ঝরা।


সারাটা রাত জেগে ছিলাম নিদ্রাবিহীন দ্বারে
তোমার প্রাণের স্বর্ণ যেন কেউ নিতে না পারে।
সারাটা রাত নিদ্রা শেষে ভোরবেলাতে জেগে
আমায় দেখে তন্দ্রাচ্ছন্ন উঠলে তুমি রেগে!


সারা জীবন ভালোবেসে দিলাম এ বুক পেতে
চরণ তোমার ব্যথা না পায় কাঁটার পথে যেতে।
পথ ছেড়ে বিপথে শেষে তুমিই দিলে চরণ
এখন বলো, আমায় ভালোবাসাটাই অকারণ!


অচিন সে এক শিল্পী আঁকে বিস্তৃত ক্যানভাসে
হাজার রঙ আর হাজার রেখায় নিখুঁত চিত্র হাসে।
তারই মাঝে খোঁজো ক্ষুদ্র রঙ ও রেখার অমিল
তোমার ক্ষুদ্র চিত্রে আজও রঙ যে নেই একতিল!