একদিন পিতা কহে পুত্রকে ডাকি:
বয়স হলো, কখন আর থাকি বা না থাকি,
আমি চাই তুমি আমার বিদায়ের আগে
শিখে নাও জীবনে যা যা কাজে লাগে।


শিক্ষার আজ খুব ভালো এক তিথি
তোমাকে শেখাবো কিছু রাজনীতি।
পুত্র কহে: রাজনীতি? সে তো আমি জানি
পিতা কহে: বলো আমি  কেমনে তা মানি?


পুত্র কহে: কেন, তোমার লেখা যত বক্তৃতা
মনোযোগ দিয়ে আমি পড়িনি কি তা?
পিতা কহে: সে লেখা তো ন্যায়-নীতি!
পুত্র কহে: তবে কি আবার রাজনীতি?


পিতা কহে: বুঝনায় রাজনীতির মূলটা,
ওটা হবে ঠিক বক্তৃতায় বলাটার উল্টা।
নীতিহীন যাহা কিছু, তাই রাজনীতি:
মিথ্যা, অবিচার, চুরি, সন্ত্রাস, স্বজন-প্রীতি-
যাহা করে রাজাগণ যুগ যুগ ধরে
আমি আর তুমি তা বদলাই কি করে?


পুত্র কহে: আজকের জনতা কি সইবে?
পিতা কহে: নইলে কি তারা ধরায় রইবে?
পুত্র কহে: ওরা যদি তোমাকে সরায়?
পিতা কহে: সে তো হবে শাপে বর ধরায়।


পিতৃহারা তুমি পাবে সবার সহানুভূতি
সবাই শুনবে পিতৃ-খুনের বিচার-আকুতি।
তাতেই তুমি আসবে আবার ক্ষমতায়
করবে আবার ঠিক আমি যা করছি তাই।


রক্ত হলো রাজনীতির উপাদেয় খাদ্য
জনগণ তা খেতে বা খাওয়াতে বাধ্য।
জনগনের বুকের দেয়া রক্তে নিশ্চয়
না হোক জনগনের, রাজনীতির বিজয়।


রচনা: ১৯ এপ্রিল, ২০১৬