কোন্ এক ক্ষণে জেনেছিলাম, ভালোবাসো মালা
একটি মালা তোমায় দেবো, ধরলো মনে জ্বালা।
এক সকালে গিয়েছিনু বকুল গাছের নীচে
ফুল কুড়াতে দাঁড়িয়েছিনু লম্বা সারির পিছে।
সবার শেষে দীনের বেশে কুড়িয়ে পেলাম যে ফুল
তোমায় দেবার আনন্দে তা, হয়েছিলাম বেভুল।
ফুলগুলো সব নিয়ে বুকে ঘরে দিলাম তালা
সারাটা দিন ঘরের ভিতর গেঁথেছিলাম মালা।
যতন করে বুকের ভিতর নিলাম মালাটারে
শেষ বিকেলে পায়ে পায়ে গেলাম তোমার দ্বারে।
দেখি সেথায় চোখ ধাঁধানো হাজার ফুলের ডালা
তোমার চরণ জড়িয়ে আছে স্বর্ণ, হীরের মালা।
শরম মাখা নত শিরে আমার মালাখানি
মনের ঘোরে তোমার পায়ে রেখেছিলাম আনি'।
হঠাৎ তুমি ফেললে ছুড়ে অবহেলায় হেসে
ছিন্ন মালার ফুলগুলি সব পড়লো পথে এসে।


সেথায় বসে করুণ চোখে দেখি যে আজ চেয়ে
বিবর্ণ সব ফুলের কান্না তোমার হেলা পেয়ে।
শুকনো ফুলের যে মালাটি পায়নি তোমার প্রাণ
আমিই শুধু শুঁকছি আজও তারই বুকের ঘ্রান।
জানি সে ঘ্রান হারিয়ে যাবে আর ক'টা দিন পরে
যেমন নিত্য হাজার গোলাপ হারায় অনাদরে।


তবুও অবুঝ ভাবি বসে কোন্ এক দেবী এসে
ছিন্ন মালার ফুলগুলি মোর নেবেই ভালোবেসে।