যেভাবেই বলো, যেভাবেই লেখো, আমি সাধারণ বাঙাল
ছেলেমেয়ে আর বউ সংসারে, অভাবে অভাবে কাঙাল।
খেত ও খামারে, হাট ও বাজারে দিনরাত আমি খাটি
কটি ভাত আর দুটি রুটি পেতে রোদে-জলে খুঁড়ি মাটি।


নয় দামি গাড়ি, বউয়ের শাড়ি, ছেলে ও মেয়ের পোশাক
আর হাতে দিতে শিক্ষার বই রোদে পুড়ে হই খাক্।
পাথর ভেঙে তো পাথর হয়েছি তাই নমনীয় নই
করুণার দানে লাথি মেরে আমি দুর্বিনীতই রই।


আমি এক বাঙাল, এই ছাড়া আর নেই কোন পদবী
রুগ্ন-শীর্ণ দেহধারী আমি, হাজার বাঙালের প্রতিচ্ছবি।
যেইদিন থেকে লিখেছ সময় তারও অনেক আগে
আমি এসেছিনু এই মাটিতে, এ মাটির অনুরাগে।


তখনও পাইন, পাম, ক্যাকটাস মাটিতে গাড়েনি মূল
তখনও আসেনি বিদেশ থেকে হাজার ঘাস ও ফুল
তখনও হয়নি বাবু ও সাহেব, মহাশয় নামে ডাকা
সেদিন বাবার ছেঁড়া লুঙি দিয়ে উড়িয়েছি আমি পতাকা।


সেইদিন থেকে গুনে গুনে এসো আমার পূর্বপুরুষ
সকলেই ছিল কৃষক, শ্রমিক আর খেটে খাওয়া মানুষ।
সূর্যের সাথে গর্ব শিখেছে আর শিখেছিল পুড়াতে
ডালপাতা ছাওয়া মাটির কুঠিরে জয়ের পতাকা উড়াতে।


শিক্ষা নিয়েছি ইতিহাস থেকে যখনই হয়নি সাবধান
বাহিরের চোর করেছে চুরি আমার বাবার বাগান।
তোমরা যারা চুরি শিখে নিলে, সাবধান হতে শেখনি
আমরা ক্ষুধায় চোর ধরে খাই, সে কথা হিসাবে লেখনি।