স্বভাব কবি লেখে যা-তা, শুধুই লেখার স্বভাব
ব্যাঙের মুড়িঘন্ট রাঁধে, মস্ত তিমির অভাব।
আকাশ যখন মেঘমুক্ত জীবন মরে খরায়
স্বভাব কবি স্বভাব দোষে চোখের বৃষ্টি ঝরায়।
বৃষ্টি ঝরা মেঘের বুকে সূর্য যখন ফোটে
কবির মন্ত্রে খেকশিয়ালের ভাগ্যে বিয়ে জোটে।
সবাই যখন নাচের তালে, কবি নাচায় ফড়িং
ভালোবাসার চুমোর মাঝে কবি ঘোরায় শিং।
সবাই যখন গানের সুরে আনে ইন্দ্রজাল
স্বভাব কবি হেঁড়ে গলায় দেয় কেটে তার তাল।


স্বভাব কবির ভাবটা এমন - রবীন্দ্র, নজরুল
জীবনানন্দ, বোস, সুকান্ত, গুণ ও সুনীল ভুল।
পদ্য লিখতে গদ্য লিখে হাওয়ার মেঘে উড়ায়
ছন্দ ভেবে মন্দ রেখে ভালো যা সব পুড়ায়।
মাটি ছেড়ে হাওয়ার মাঝে দেয় খুলে রেস্তোরাঁ
নিমন্ত্রণ দেয় সব কবিদের- খেতে আয়রে তোরা।
সমান মাটি রেখে কবি গর্তেই ফেলে পা
ভাবের ঘোরে শ্বাসটা নিতে মস্ত করে হা।
রাগে, দুঃখে বউটি যে তার মুখে ঢুকায় মাছি
স্বভাব কবি তবুও ভাবে কাব্য সুখেই আছি।
পড়শিরা সব বড়শি ফেলে খোঁজে কবির বই
কেউ বলে না এই পেয়েছি, রব ওঠে কই, কই।


স্বভাব কবির কাব্যে যখন ভাবের বড়ই অভাব
কাব্য না হোক, ধন্য হবো ভালো হলেই স্বভাব।
------------------------------------------------------
# প্রিয় কবি অনিরুদ্ধ বুলবুলের কবিকথা-১, তাতে আমার মন্তব্য ও মন্তব্যে কবির উত্তর - এ সব ভাবনাই কবিতাটির জন্ম দিয়েছে।