ঘরের মধ্যে সাজানো আলমারীর তাকে
পুরনো কাপড়গুলো কখনো পেছনে ডাকে।
একটা পুরনো লুঙি, মাঝখানে একটু ছেঁড়া
হাতে নিয়ে আজ তেমন একটু পেছনে ফেরা।


নদীর তীরের সেই সবুজ ছোট্ট এক গাঁ
সে'বার খরাই পুড়ে চারিদিক করে খা-খা।
সবকিছু পুড়ে যাওয়া গন্ধ আসে নাকে
বুক ফাটা তৃষ্ণায় ফটিক-জল ডাকে।
শুকনো নদীর বুকটা হ'লো ফাটা ফাটা
সুকোমল নারীর বুক যেন নিঠুরতায় কাটা।
চায় যেন কারো হাতের জাদুকরি ছোঁয়া
সেলাই করা ছেঁড়াগুলি জলে ফের ধোয়া।


হঠাৎ সে'দিন অঝোর ধারায় নেমেছিল বৃষ্টি
জল থৈ থৈ নদীর বুক কেড়েছিল দৃষ্টি।
সিক্ত মাটির বুক থেকে এসেছিল সৌরভ
হঠাৎ দু'জন দু'জনকে করেছিনু অনুভব।
দু'জনেই কাদা-জল মেখে একাকার
খোলা পিঠে নাক রেখে দিলে চিতকার -
তোর এই দেহ আজ হয়ে গেছে আতর।
শিহরণে ভেঙেছিল হৃদয়ের পাথর।


অনেক তো ভুলে গেছি, কিছু তার যায়নি ভোলা
তাই আজও ছিল সেই লুঙিখানি তোলা।
তার সেই ছেঁড়াটায় দিলাম আজ ফোঁড়
মিহিন তন্তুতে সে ছেঁড়ায় লেগে গেল জোড়।


যতই সেলাই করি, হৃদয়ের ছেড়া ক্ষত থাকে
বৃষ্টিটা নামলেই, থৈ থৈ নদী পিছু থেকে ডাকে।