সাধু এক করে বাস ছোট এক শহরে
তাঁর রোজ প্রার্থনায় সুখ সব অন্তরে।
সবার মাঝে  ছিল সদা সম্প্রীতি
ধর্মে ধর্মে মারামারি কারো নয় স্মৃতি।
একদিন শহরে হলো শয়তান হাজির
সাধু বলে, কেন এলি তুই? হয়ে যা বাহির,
এখানে সবাই ভালো, নেই তোর চেলা।
শয়তান বলে, তবে দেখে যাও খেলা।


চুপ করে ঢুকে গেলো মোল্লার দোকানে
টুপ করে গুড় ফেলে মেঝেটার মাঝখানে।
তার উপর এসে বসে একখানি মাছি
তারে খেতে গিরগিটি এলো কাছাকাছি।
মোল্লার বিড়ালটি ঝাঁপ দিলো ঘাড়ে
ঘোষেদের কুকুরটা হুংকার ছাড়ে,
ঝাঁপ দিয়ে বিড়ালের ঘাড়ে দিল কামড়
মোল্লাজির লাঠি দিলো কুকুরকে দাবড়।
ঘোষেদের ছেলে দেখে রাগে হলো খুন
মোল্লার ছেলের চোখে ছুড়ে দিলো নুন।
মোল্লাজি ছুটে এসে মেরে দিলো চড়
মার খেয়ে ঘোষ-ছেলে করে ধড়ফড়।
ঘোষ মারে মোল্লাজির মাথায় এক লাঠি
মোল্লাজির সাগরেদ দেয় ঘোষের কান কাটি।
শহরের হিন্দুরা এলো সব লাঠি হাতে ছুটে
মোল্লা বাড়ীতে আল্লাহু আকবর হুঙ্কার উঠে।


রক্তের ধারা বয়, মাথা খান খান
সম্প্রীতি কোথা গেলো? হাসে শয়তান।
সাধুর অন্তর কাঁদে শয়তানের জয়ে
শান্তির শহর মাতে ধ্বংসের প্রলয়ে।


রচনা: 3 জুলাই, 2016