কবি লেখে কবিতা ও কবিপত্নী রাঁধে
কবি খায় তা তৃপ্তিতে সুমধুর স্বাদে।
কবির মনটা তবু তাতে নাহি ভরে
পত্নী শোনে না কবিতা কবি যবে পড়ে।


পত্নী বলে, কি যে লেখো বুঝি নাতো কিছু
তবু কেন শোনাতে তা ছাড়োই না পিছু?


একদিন রাগে কবি করিল কৌশল
সুমধুর রান্না খেয়ে তবু করে ছল -
বলে, ছিঃ ছিঃ, রান্নার হলো এ কী হাল
বিস্বাদ খাবার আর খাবো কত কাল?


এক, দুই, তিন দিন এইভাবে যায়
অবশেষে কবি গিন্নি বুদ্ধি এক পায়।
বসিয়া কবির কাছে খুব মনোযোগী
শুনিয়া কবিতা বলে, খুব উপভোগী।


কবির সহসা তাতে ক্ষুধা খুব বাড়ে
গিন্নির রান্না যত সব সৌরভ ছাড়ে।
তৃপ্তিতে খেয়ে কবি বলে, প্রিয়তমা
রান্নায় পেয়েছো ফিরে আগের সুষমা।


জানে পত্নী, জানে কবি, কিসে হলো স্বাদ
সেই থেকে কেউ কারে বাধে নাকো সাধ।
কবি পায় বাহবা যা-ই লিখে শোনায়
কবি পত্নী খুশি রোজ রান্নার প্রশংসায়।