সোনার বাংলা সোনায় ভরা নেইকো ধনের অভাব
বন্ঠন হবে তা কিভাবে, নেই পদ্ধতি, স্বভাব।
যার আছে তার অঢেল আছে, নেই পরিমান জানা
ঘুষের চশমায় আয়কর বিভাগ থাকে পূর্ণ কানা।
গরিবের যা পাওনা ছিল ধনীর ঘরেই জমে
সেই জমাতে ধনীর বাড়ে - গরীবেরটাই কমে।

দ্রব্যমূল্য স্বল্প ভেবে অসৎ ধনী হাসে
দ্রবমূল্যের সুনামিতে গরিব কেঁদে ভাসে।
অসৎ ধনী, রাজনীতিবিদ, চাকরিতে ঘুষখোর
সোনার বাংলার সকল সোনার পাকাপোক্ত চোর।

বঞ্চিতরা দিশেহারা - কোনটা যে ঠিক, বেঠিক,
ভন্ডনেতা যায় দিয়ে রোজ সাম্রাজ্যবাদে ধিক।
ভাবটা এমন সাম্রাজ্যবাদ কাল যদি নেয় বিদায়
পরশু থেকে হাজার খুঁজলে গরিব কেউ কী পায়?

সাম্রাজ্যবাদ অনেক আগেই গিয়েছে নিজ-দেশে
ধনতন্ত্রে, গণতন্ত্রে ভালোই আছে শেষে।
কারোর ঘরেই নেইকো ভরা হাজার টনের সোনা
বাংলার চেয়ে ধনীর সংখ্যা হাতেই যাবে গোনা।

যে যেভাবে আয় করে তার আয়করে নেই ফাঁকি
অসৎ পথের আয়ে পরায় হাতকড়াটার রাখি।
যার কপালে বেকারত্ব আর গরিবের দাগ
ভালো বাঁচার তরে সে পায় দেশের ধনে ভাগ।

সোনার বাংলায় বাঙালী আজ নতুন পুঁজিবাদী
যায় না গোনা তাদের সোনা যারাই অপরাধী।
সৎ মানুষের বিলাসিতা জুটলে আস্ত রুটি
রাজনীতিতে কবেই কাটা গণতন্ত্রের টুটি।

সমাজতন্ত্র আসলেই কি এ সমাজ হবে শুচি
আজ যারা খায়, কাল কি হবে খাওয়াতে অরুচি?
পরের সোনা নিজের ঘরে রাখা যাদের স্বভাব
তারা থাকতে সোনার বাংলায় যাবে নাকো অভাব।

আমজনতা চায় না সোনা চায় দু'মুঠো ভাত
আদায় করে নিতে খাটে তাদের শক্ত হাত।
তা কেড়ে খায় আজ বাংলায় স্বদেশ-পুঁজিবাদী
সব তন্ত্রেই সুখ কেড়ে খায় এসব অপরাধী।