স্রষ্টার জ্ঞানের আভা দৃশ্যমান তার সৃষ্টিতে
একমাত্র মানুষ দেখে তা তার অন্তর্দৃষ্টিতে।
একমাত্র মানুষই স্রষ্টার অসীম জ্ঞানের প্রতিনিধি
অন্যসব সৃষ্টিতে সীমিত সে আলোর পরিধি।


মানুষের জ্ঞানের পরিধি তাই প্রতিদিন
বর্ধিষ্ণু, ভ্রাম্যমান, স্থবিরতাবিহীন।
মানুষের বর্ধিষ্ণু জ্ঞানে স্রষ্টা পায় তৃপ্তি
যা ছিল তার সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য ও দীপ্তি।


স্বল্পজ্ঞানী, বিভ্রান্ত কিছু মনে জাগে সংশয়-ভীতি
ভাবে, বিজ্ঞান অশ্রদ্ধায় কলুষিত করে স্রষ্টার রীতি।
অথচ প্রতি মুহুর্তে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অর্জন করে ভোগ
আর ডাকে জ্ঞান অন্বেষণকারীর মহাদুর্যোগ।


জ্ঞান-পিপাসু বিজ্ঞানী হয় বিমোহিত স্রষ্টা-জ্ঞানে
স্রষ্টার জ্ঞানের সীমাহীন ব্যাপ্তি শুধু সেই জানে।
আর বোঝে নিজ-জ্ঞান কতই না নগন্য ক্ষুদ্র-কণা
সীমাহীন জ্ঞানের পিপাসায় চলে তার আরাধনা।


সে জ্ঞানের কিছু তবু মানুষের কুপ্রবৃত্তিতে
ধ্বংস আনে স্রষ্টার সৃষ্টিতে, মনুষ্যত্বের ভিত্তিতে।
সেই ভয়ে বন্ধ হলে জ্ঞানের অন্বেষণ, অগ্রগতি
অনুর্বর বিশ্বে অন্ধকারে রবে স্রষ্টার সীমাহীন জ্যোতি।