তুমি বললে, ভাষাটা বদলে নাও
বুঝলে না বলা হলো, তোমার মায়ের জিবটা কেটে দাও।
আমি তাই মায়ের দেয়া শব্দগুলো আমার মুখের চুলায়
উত্তপ্ত আগুনে ভেজে নিয়ে তৈরী করলাম নরম তুলায়
হৃদয়াকৃতির ক্ষুরধার টুকরো টুকরো কাঁচের কণা
বুঝলে না ধাতবের বুলেটের তার সাথে হয় না তুলনা।


তুমি বললে, হৃদয়কে বদলাও
বুঝলে না, সে তো আমার মায়ের হৃদয়কে করে দেয়া উধাও।
আমি ধরলাম দুহাত ভরে ফাগুন আকাশের বৃষ্টিকণা
আর রান্নাঘরে পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানো মায়ের দৃষ্টিকণা
তারপর লিখলাম মায়ের তাওয়াতে শেকা তপ্ত রুটির বুকে
তোমার চরমপত্র আমার বুকের রক্তে মায়ের চরন ধুয়ানোর সুখে।


তুমি বললে, তোমার হাতে হাত রাখতে
শিখলে না আমার মায়ের চরণ ছুঁয়ে তোমার মূর্খতা ঢাকতে।
শীতের ঝরা পাতায় হিমায়িত ঘৃণার শিশির-কণা
অজগরি বিষ হয়ে হিস হিস শব্দে তুললো ফনা
রক্তের নদীতে স্নান করে জন্ম নিল অগ্নিপুরুষ
তোমাদের অমানিশায় ঠেলে দিয়ে আনলো সোনালী প্রত্যুষ।


আমার ঠোঁটদুটো সেই মায়ের ঠোঁট
একদিন যাতে লেগেছিল এক দুর্বিনিতের চোট।
সেই ঠোঁটের মধ্যখানে তারই দেয়া শব্দগুলি পুড়াই
অতপর বজ্রের গর্জনে বিজয়ের পতাকাটা উড়াই।
আমার ঠোঁটদুটোও দান করে আমার সন্তানে
বলে যাবো, জন্মায়নি এ ভাষা ফুলের বাগানে।
জন্ম তার তোমার পিতৃপুরুষের ঝরা রক্ত আর ঘামে
যে ভাষার গানে আজও তোমার মায়ের চোখে বৃষ্টি নামে।