ভাগ্যদোষে পিতামাতা না হয় যদি ধনী
হাভাতে খত লিখলো ভালে তোমার জন্মক্ষণই।
আগুন সওয়া উদর নিয়ে করবে লেখাপড়া
ভাগ্যগুণে চাকরি হলে, শুরু জীবন গড়া।


কয়েক ডজন ক্ষুধার উদর, সাথেই বসা, ওঠা
সেই আগুনে অল্প বেতন জল যে কয়েক ফোটা।
নেভার চেয়ে দ্বিগুন জ্বলে শব্দটা দাউ, দাউ
শূণ্য-কঠিন চোখগুলো সব চায় যেন দাও, দাও।


তারই মাঝে স্বপ্ন চোখে - হবে আপন ঘর
যেথায় এসে আপন হবে অন্য ঘরের পর।
প্রাণের মিলন, দেহের মিলন আনে নতুন মুখ
সুখের মাঝেও চাওয়ার জ্বালা বুকে বাজায় দুখ।


এমনিভাবে চাকরি থেকে যেটুক বাড়ে আয়
তার তুলনায় নিত্য বাড়া চাওয়ার সীমা নাই।
ভাগ্যগুণে জোটেও যদি দু'তিন পদোন্নতি
ভোগের চেয়ে জীবন তখন শেষ বিদায়ের গতি।


চাকরি থেকে পাওনাটুকু উল্টো হলে পাওয়া
হয়তো পূর্ণ হয়ে যেতো মনের অনেক চাওয়া।
ওদের তরে কেউ কি আছে উল্টো চাকরি দাতা
দেবে যারা শুরুর দিকে বেশি বেতন, ভাতা?


যা দিয়ে সে গড়বে জীবন, প্রাণটা যখন তাজা
প্রথম জীবন ভিখারি নয়, নাই বা হলো রাজা!
চাকরির বয়স বাড়বে যত বেতন যাবে কমে
শেষ জীবনে খাওয়া, পরা, সবই তো যায় দমে।


ছেলেমেয়ে মানুষ হলে বেশিই বা কী লাগে
একই পাওনা জীবনভরে, বেশিটা চাই আগে।
আমার যত উল্টো ভাবনা, উল্টো আমার দাবি
তবুও কারো ভাগ্যে এলে, পেতো সুখের চাবি।