ভিক্ষা নয় কারো তরেই সম্মানের পেশা
হতেও পারে কারো কর্মহীন সম্পদের নেশা।
প্রকৃত ভিক্ষুক করে তা অসহ্য ক্ষুধার জ্বালায়
অন্তরে দগ্ধ হয় অক্ষমতা ও গ্লানির মালায়।


এমন ভিক্ষুক পায় যদি উপার্জনের পথ
হতে পারে পরিশ্রমী, কর্মঠ, নিষ্ঠাবান-সৎ।
ভিক্ষুকের জন্মদাতা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার গলদ
যেখানে কিছু মানুষ হয়ে যায় আয়হীন-বলদ।


যেথা নেই রাষ্ট্রীয় সম্পদের বণ্ঠন-ব্যবস্থা
কেউ রয় কপর্দকহীন, কেউ ভরে বস্তা।
ঘুষ, দুর্নীতি, লুণ্ঠনে সমাজের ক্ষমতাধর
অন্যের সম্পদ লুট করে ভরে নিজ ঘর।


রাষ্ট্র ব্যর্থ হয় সম্পদের সঠিক কর আদায়ে
কারো আকাশ ছোঁয়া, কেউ মরে পেটের দায়ে।
প্রশাসন হাত মিলায় ধনিক ও বনিকের সাথে
অপরের খাদ্য খেয়ে তারা থাকে দুধে ভাতে।


ভিক্ষা দূরীকরণ নয় কোন আইনের কাজ
ভিক্ষা দূর হবে যদি আসে সমতার সমাজ।
প্রত্যেক নাগরিক সম্পদে অধিকার রাখে
রাষ্ট্রের দায়িত্ব পাওনা যার তুলে দেয়া তাকে।


যার যত বেশি আয়, আয়করও বেশি
যেন কেউ না পারে খেতে দেশ নিঃশেষী।
সরকার ও নাগরিক রবে সদা সজাগ
ভাগ্যহীনও পায় যেন তার ন্যায্য ভাগ।


যতদিন না আসে সমাজে এমন নীতি
ভিক্ষুক না পায় যেন অপমান, ভীতি।
মাফ চাওয়ায় মাফ নেই বিধাতার কাছে
যার নেই, দিতেই হবে যার কিছু আছে।


সবচেয়ে বড় দেওয়া, যদি পারো দিতে
সত্পথে উপার্জন-পন্থা, ভিক্ষার বিপরীতে।
কিছুই যদি নাই পারো দিতে ভিক্ষুকে
বিনয়ে ফিরায়ো তারে সদা হাসি মুখে।