ভোট এক নাগরিক অধিকার,
আর এক পবিত্র আমানত
পাওনাদার তার এক প্রার্থী -
যে নীতিবান, কর্মঠ, সৎ।


এমন প্রার্থী যে, সে যে দলের
বা যে জোটেরই হোক
তার কাছ থেকে বৈধ সেবা
পাবে দেশের সবলোক।


যে কোন দলেরই হোক, যে প্রার্থী
অসৎ ও দুর্নীতিবাজ
দেশ বা কারো জন্যেই এমন কেউ
করে না ভালো কাজ।


অপরের যাহা কিছু, নিজ স্বার্থে
সে চৌর্য-কর্মে ব্রত
দেশের সকল নাগরিক ব্যবস্থা
ধংস করে অবিরত।


বঞ্চিতের সংখ্যা বাড়ে ক্রমে
জনগন করে হাহাকার
নিত্য অনিয়ম, ধর্ষণ, খুন, গুম
সাথে বাড়ে অবিচার।


সমস্ত ঘরে ঘরে দাউ দাউ করে
যে আগুন ওঠে জ্ব’লে
রেহাই দেয় না তা তোমারও ঘর
তুমি সেই দলের বলে।


এমন এক প্রার্থীকে ভোট দিয়ে
যদি আনো ক্ষমতায়
অপকর্ম, দুর্নীতি ও স্বদেশ ধ্বংসে
তুমিও তারই সমতায়।


নীতিবান, সৎ প্রার্থী যদি হয়ও
তোমার নীতি-বিরোধী
অন্যায় পথে, সে কোনদিনই
হয় না ঘৃণ্য-প্রতিশোধী।


ভোট দাও নীতিবান, কর্মঠ
এবং সৎ এক প্রার্থীকে
অন্যথায় ডেকে আনো নিজেই
উৎপীড়িতের আর্তিকে।


অসৎ, দুর্নীতিবাজ, অত্যাচারী
প্রার্থীর কৃত যত পাপ
ভোট দিয়ে তুমিও সমর্থক হয়ে,
পাবে সমান অভিশাপ।


অবাধ ভোট দানে বাধা দেয় যারা,
ভোটকেন্দ্রে আনে সন্ত্রাস
তারা গণতন্ত্রের বন্ধু নয় কোনদিন
করে দেশের সর্বনাশ।


আর্মি ও পুলিশ! করো তাদের রোধ,
তারা যে দলেরই হোক
তোমরা হয়ো না তাদের একজন,
হও দেশ ও জনতার লোক।


যদি এই পবিত্র আমানতের খেয়ানত
হয় আজ তোমাদের হাতে
ইতিহাসের জাহান্নামে তোমাদের স্থান  
হবে কাল ওদেরই সাথে।