যদি ভালো লাগে -
যেও সেই মধুমালতী বনে
যেথা একদিন দাড়িয়ে দু’জনে
চোখে চোখ হাতে হাত রেখে
হয়েছিনু কথাহারা দুটি মুখ থেকে,
তবু বলা হয়েছিল হৃদয়ের সব ব্যাকুলতা।
যদি আজ কথা বলে সেই নীরবতা
যদি মনে সেই স্মৃতি জাগে
যদি ভালো লাগে!


যদি ভালো লাগে -
যেও সেই নদীটির তীরে
দেখো, কত জল শুকিয়েছে ধীরে
দুকুলের কুসুমগুলো তার খরস্রোতে
হারিয়েছে কোথা তারা আঁকা বাঁকা পথে
সমুদ্র মোহনায় মিলনের আগে,
যদি ভালো লাগে!


যদি ভালো লাগে -
যেও সেই মেঠোপথে একদিন
যেখানে আজও হাসে সর্ষে ফুলেরা রঙিন
এখনো যারা নরম হলুদ রঙ দেয় গায়ে
শিশিরেরা মায়ার অশ্রু ঢালে পায়ে।
শুনো প্রণয়ের নরম রোদে স্মৃতির সবুজ ডাক
বাতাসের কানগুলো শুনে যাবে হৃদয় নির্বাক।
যা ভেবেছো হয়ে গেছে বিলীন
তাই আজও করে যায় অজস্র হৃদয় রঙিন।
যে সবুজ ফসলের মাঠে আজও রোদ্রের বান
জীবনের ব্যথা ধুয়ে জিইয়ে রাখে প্রাণ
যেও তারে রাঙাতে অমলিন ফাগে
যদি ভালো লাগে!


যদি ভালো লাগে -
যেও সেই সবুজ ঘাসের মাঠে
পড়ন্ত বেলায় যেথা সূর্য গেলে পাটে
বসেছিনু দুজনে বিকেলের নরম রোদে
হৃদয়-বীণার তন্ত্রীতে অনাগত ঝংকার-বোধে
সাজিয়েছিনু তোমার বেণী-বাঁধা চুল
তুলে নিয়ে অনামিকা এক ঘাসফুল,
যদি পাও আজও তার ঘ্রাণ
যদি চায় ও ব্যাকুল প্রাণ
খুঁজে দেখো ছায়া আজ কত দীর্ঘতর
কায়া থেকে। যা মিলাবে ক্ষণিক-পর,
দেখো তার আবছায়া দিনান্তের অন্তিম অস্তরাগে
যদি ভালো লাগে!


রচনা: ৩ মে, ২০১৬