চির জনমের সাথী মোর দেখ বাতায়ন পাশে চাহি
ব্যাথিত বেদন সহিতে নারি আজি তাই শ্রাবণের রাহি ।
তোমার প্রনয়ের ভার হারায়ে সে বরষার রূপে
অশ্রূ বীণার করূন সূরে প্রেয়সীর নাম জপে ।
মাঠ-ঘাট প্রান্তর পেরিয়ে খুজিছে নিশি দিন
আশার ডোরে বাধিয়া হিয়া অনুনয়ে সমাসীন ।
মোর চক্ষে যত জল ছিল তুমি ঝরায়েছ তা
করূনায়ও শোন নি কভূ ওগো ব্যাথার কথা ।
তুমি চলে গেছ রাখনি কিছু মোর বাচিবার তরে
ধরনি কাপিল ! প্রাণের আর্তনাদ বাজিল মম পিঞ্জরে ।
কত কথা কহিয়াছি, করিয়াছি কত মিনতি
বেদনায় ভাঙ্গিয়াছে  অন্ত হেরিনু সে করূণ আরতি ।
যে প্রনয়ের শিখা তুমি জালায়েছ আজ বড় ক্ষীনকায়
তুমি নেই ভেবে অন্তর কাঁদে কস্টের আড়স্টতায় ।
মহা শূনে্যর তারা গুলি আজো আছে জেগে
কোটি জনমের চাঁদ সেও দেখ প্রতিক্ষারত কোন সে অনুরাগে ।
বুঝিবা তারা দেখিতে চায় আমার জনম ক্ষয়
তিথি গুনে গুনে তাই চাঁদ হয়ে ক্ষয় আবার জনম লয় ।
ভূল করে ভূল বুঝে তুমি চলে গেছ দূরে
অভিমানে তারাগুলি ঝড়ে ঝড়ে পরে মোর অশ্রূ নীড়ে ।
কাননের যত কলি যত ফুল ছিল হায়
আমার ব্যাথার ছোয়ায় ওরা ঝড়ে পরে যায় ।
কাদিয়াছে ওরা মিশিয়াছে বারি মহা সিন্ধুর জলে
বধূ মোর মায়াবিনী জীবন সুধা ওগো তোমার অধর তলে ।
প্রিয়া মোর এতকাল গেল তবু কেন আর ফিরিলে না
আমার হৃদয় কাননে কেন ফুল হয়ে ফুটিলে না ।
তোমার অভিমানে ভেঙ্গেছে হৃদয় নিভে গেছে বৃন্দাবনের আলো
কি ব্যাথা বুকে তোমার ?বল আজ আমায় সে কথা বল ।
আমারে রাখিয়া অভিমানে চলে গেছ বহূ দূরে
আমি মরিয়াছি মরে নাই নয়ন তোমারে দেখিবার তরে ।
যদি কোন কালে অভিমান ভাঙ্গিয়া তুমি আস প্রিয়া
আমার নয়ন জাগিয়া রহিয়াছে ওগো সেই অশা নিয়া ।
তোমারে দেখিবার জনে্য কোটি জনম বাচিবার বাসনা জাগে
না দেখিয়া দেখিয়া নয়ন মুদিল হায় বেদনায় অনুরাগে ।
এত ব্যাথা দিলে তুমি বাধিল না কি বুকে
চলে গেলে তুমি ফিরিলে না আর আমার হৃদয় ভাঙ্গা ডাকে ।
আমারে দেখিয়া বল কেন দূরে দূরে সরে রও
থেকো না ওগো নিরূক্ত আজি, সে কথা শোনাও ।
তোমারে বধূ বলে নিয়েছিলাম জড়ায়ে বুকে
তাই বঝি কাদিতে হইলো আজ হৃদয় ভাঙ্গা শোকে ।
আশার প্রদ্বিপ জ্বেলে যে মাল্য পরায়েছিলে গলে
শত জনম ধরে ভিজায়ে রেখেছি তাহা মোর আখি জলে ।
আখির আমার ভগ্য ভাল পেয়েছিল আখিজল
আমার সুখের ইন্দ্রানী ওগো ব্যাথার সাগর তল ।
তুমি কি দেখেছ কভূ আমার অধর তলে
কত না বলা কথার মুক্তো মানিক জ্বলে ।
তোমার কন্ঠের মালা হয়ে তারা হাসিতে চায়
তুমি নেই জেনে কাদিয়া ফিরে নিদারূন বেদনায় ।
তোমার অচর্নায় অশ্রূ দিয়ে গাথিয়াছি মুক্তোর মালা
সে কথার অঞ্জলি দিতেছি তোমায় হয়নি যে কথা বলা ।
চাঁদ দেখেছ ! দেখেছ কি কাল দাগ তার বুকে
ওর বক্ষে ক্ষত চিহ্ন, জান সে কার শোকে ?
কোটি জনমের অপূনর্ মোর যত স্বপ্ন আশা
জমে জমে মরূ হইয়াছে, চাঁদ নয় নিরাশা ।
কলঙ্ক হয়ে ঘুড়ে বেড়ায় তোমার স্মৃতির ছায়া
আজিও বুঝি ভুলিতে পারে নাই তোমার মধুর মায়া ।
কোন কালে মহা সিন্ধুর গর্জন শেষে তোমারে খুজিতে প্রিয়া
বেদনার সাগর চাঁদ হয়ে ওঠে কলঙ্ক বক্ষে নিয়া ।
তোমার জন্যে চন্দ্র বুকে ছিল বুঝি গভীর অনূরাগ হায়
এত জ্যোৎস্নায়-ও লুকায়তে পারে নাই, তাই কলঙ্ক বয়ে বেরায় ।
যে ভালবাসা জমিয়া রহিয়াছে এতকাল ধরি তব অন্তমনে
কোন লজ্জায়, কোন সঙ্কায় প্রকাশিতে চাহ না তা বাহিরে ভূবনে ।
তোমার অভিমান ভাঙ্গীয়া বল কেন ফিরিলে না আর
মম হৃদয়ের স্মৃতি তোরনে তোরনে করে বিষাদের মহাসংহার ।
সেই প্রলয় দাপটে ফুল হয়ে ঝরে পরে মোর যত ভালবাসা
ঝরা ফুল বক্ষে জরায়ে দেখেছ কি কোনদিন-
                                   তাহার চোখে কিসের আশা ?
আমি মরিয়াছি সুধু মরে নাই ফুল তোমারে দেখিবার আশা নিয়া
আজো সুকায়নি তোমার হৃদয় কোণে তাহার নিবাস জানিয়া ।
ফুল নয় ওরা বিরহের ধারা তোমার অধর পল্লব ফাকে চাহিয়া রয়
প্রেয়সীর খোজে হারায়ে জনম তায় আবার জনম লয় ।
যত আশা মোর, এই বুকে রেখেছি তারে পুষে
কত সজতনে কত যে ভালবেসে ।
ভালবেসে তোমায় পেয়েছি ব্যাথা কেদেছি যে কত
ঘুম আসেনি বলে বিনীদ্র রজনী কাটায়েছি শত ।
শত রজনীর মোর আখি জল জমে জমে-
আমায় কহিয়াছে ! কাদিয়াছি এতকাল নিরাশার মহাভ্রমে ।
প্রিয়া তুমি বল - আমার ভালবাসা কি তোমার হৃদয় কোনে
বিষম দড়িয়ায় কোন সে অভিমানের নিদারূন উচ্ছাস আনে ।
চির জনমের সাথি মোর কহ সেই কথা কহ
আমার প্রেম ভাল লাগে না কেন আপনারে দহ ?
আশার ব্যাঞ্জনা যবে ব্যাথার ইন্দ্রানী আনে
যদি কভু সুখের ছোয়া নাহি জাগে মনে -
মম ভালবাসা দূরে কোথাও ফেলে দিয়ে আসি
যাবার বেলায় চুপি চুপি বলে যেও ওগো প্রিয়তম
       তুমি আমার চির জনমের হৃদয় নিঙরানো হাসি ।