নিজেকে বিব্রত লাগে ।
বিকলাঙ্গ অনুভূতিটা মাথা চাড়া দিচ্ছে
প্রতিদিন ।
মুহূর্ত থেকে মুহূর্তে সজাগ হবার বিফল চেষ্টা ।
তবে কী আমি ভালো নেই ?


ঐ যে শত শত সাবলীল লাগে দৃষ্টি গুলো !
এক মহাশূন্যের পানে কী যেন খুঁজে চলেছে ।
প্রশান্তির মূর্তি ।
ওরা কি তবে বিব্রত নয় কখনও ?
নাকি  মিথ্যের ওড়না ঢাকা ।


নিজেকে অনবরত গুছিয়ে রেখেছে ।
চাতুর্যের মোড়কে সুকুশল অভিনয়ে ।
দৃশ্যমান জলহীন মরুভূমিকে সযতনে আগলে,
মরীচিকা ঢেকেছে দীর্ঘ বালুরাশি ।


কৌতূহল ! আরও বেশী জিজ্ঞাসা ।
জানতে চাইলাম,
ভালো আছো তো তুমি ?
সে তুমি তখন বৃষ্টির গান
শুনিয়ে গেছে অবিরাম ।
ওকে এই প্রথম কোন প্রশ্নের প্রতি
এত উদাসীন দেখলাম ।


ও আজ অনেক বেশী প্রকৃতি প্রেমিক ।
ও আজ আরও বেশী মানবিক ।
ও আজ তারও বেশী উদাস ।
রাস্তায় রাস্তায় অবোধ শিশুদের বসবাস ।


আমার কৌতূহল আরও বেশী অস্থির ।
আরও একবার জানতে চাইলাম ।
কিছু বলো তোমার হাল খবর ।
আনশোনা সে তখন শূন্যে দৃষ্টি রাখে ।
গুন গুনিয়ে আকাশ পানে,
মিথ্যে সুখের স্বপ্ন আঁকে ।


একের পর এক সাবলীল সব দৃষ্টিগুলোকে
প্রশ্ন করে চলি ।
ওরা সব শুনেও শোনে না ।
অস্পষ্ট হলেও স্পষ্ট বুঝেছি ।
আড়াল কি একটা ।
তবে কী আজ কেউ ভালো নেই ?


কৃত্তিবাস
শিলং, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯