ধীমান ,অসীম ,
নীড় ,ক্ষেত্র চৌধূরী
একরাত অন্ধকার মেখে
রক্তাভ অর্জুন পাশে
অপেক্ষায়.....
আমার উপস্থিতি
উৎসাহ পায় ছায়াতট
কানা ভাঙ্গা খুলিতে
চন্দন
দোপাটি পাপড়ি ভিজিয়ে
নীড়
তিলকমাটির আঁক কষে
কপালে
পাশেই ক্ষেত্র চৌধূরী
স্বর ক্ষেপণে মাত্রাহীন
- এক্কেবারে হালাল
      করা বকরী গো...
বাকল ছাড়ান
অর্জুন কাণ্ড রক্তাক্ত
পিষ্ট ঘাস, পাখা ছেঁড়া  
ফরিংয়ের লাফালাফি
বর্ষা মেঘের ছায়ায়
বুক পাতে
বিকেলের মাঠ ।
মাটি ছুঁয়ে ধীমান
আলো নিয়ে ছায়া আঁকে
নেত্র আলোড়ন তার
আকাশ পাতায়
ভাব লেখে....
পান পাত্রে তরল
নদী পথের বার্তা
তখনো আন্দোলিত,
ধীমান ওষ্ঠ আলিঙ্গনে
সোঁদা আঘ্রাণ,
নীরব নির্জনতা....
ক্ষেত্র রবে ডানার বিস্তার,
পাখির উড়ান
ছিন্ন পত্রশব্দে
ভারী বাতাস
- মাংসে জল
না কি দই থাকবে....?
অসীম হাতে
মুদ্রাসংকেত
বাতাসে বিদ্যুৎ রেখা
উড়ে যায় !
দৃষ্টি সোপান পেড়োয়
হালালকৃত
শিরচ্ছেদ বকরী,
স্থির প্রাণময়
হীনপলক চোখ !
নেশাঘন ছন্দ
অঙ্গুলি সকল
বোল কাটে হাওয়ায়
ধা ধিন ধিন ধা,
ধা ধিন ধিন ধা
না তিন তিন না,
তেটে কেটে ধিন ধা.....
আমার শুষ্ক ঠোঁট যুগল
ইষ্টনাম জপে
-বেলা যে পড়ে
  এল জল্ কে চল -
স্থির হাত পা,
মন্ত্র গায় শাবক পাখি
শঙ্কিত গাছ বেয়ে
নামে ধারা
অস্থি মজ্জা
গলতে থাকে
ফুটন্ত দধিরসে
রন্ধন বাস,
সর্পিল গতিপথ
বাঁধে ক্ষেত্রভূমি...
তখনও অসীম
আঙ্গুলে বোল কাটে
ধা ধিন ধিন ধা,
ধা ধিন ধিন ধা
না তিন তিন না,
তেটে কেটে ধিন ধা.....
গুটিগুটি সারমেয় দল
বলয় গড়ে
ভাঙ্গাভাঙ্গি করে ,
কিছু মানুষ অনুকরণ
তীব্র দাঁতালো শব্দে
তীক্ষ্ণ নখ আঁচড়ায়
মাটি,
ধূলো ওড়ে
পাত্রে মদিরাসফেন
চরা সুর তোলে
মস্তিষ্ক ভেতর,
কোষ দ্বন্দ্বে ঠোকাঠুকি
জঙ্গী আগ্রাসন ।
সারমেয়
বলয় ভেদ করে,
শিশু মানব কিছু
কৃষ্ণসার দেহপটে
রিক্ত খিন্ন সময়....
ভেজা ঠোঁটে গ্রন্থিরস
অক্ষিগোলকে
চাতক দৃষ্টি
জড়িয়ে রাখে
পলক রেশ ।
নীড়ের বেছানো
আসন ব্যবস্থার অবশেষ
জাঁকালো হাতছানি -  
নীল নীল নেশাঘন
পদ সঞ্চালন .....
- আদম এমনি
   বিকেল মেখে
পেতেছিল ঘাস শয্যা
   ইভের কামনায় !
- হয়তবা দুষমন্ত
  শরীরী অগ্নি শিখায়
  বিকেল মিশিয়েছিল
  গোধূলি আবেশ
        এভাবেই !
হয়তো.......
সারমেয়,
শাবক মানব বলয়,
ক্রমশঃ ছোট হয়
গড়িয়ে পড়া
উচ্ছিষ্টের দিকে !
দিনশেষ, লাল আলোর
দীর্ঘ ছায়ায় কাটাকুটি -
মানুষ পশুর মিশ্রণ
এক চালচিত্র
লেখে ভূপৃষ্ঠে,
খাদ্য দানায় নোংরা হয়
সভ্যতার বিকৃত অংশ .....
ধীমান, অসীম, নীড়,
ক্ষেত্র এবং আমি
রঞ্জিত ঠোঁট
স্খলিতচরণ
খেলি গাব্বুগচ্ছা
অব্যর্থ লক্ষ্যে
নিশানা ভেদে
পেড়োই কৈশোর,
যৌবন,বার্ধক্যের
ধূসর আয়ুরেখা -
কুয়াশা ভাসমান স্বপ্নতটে
ভেসে যেতে যেতে
শুনি ধীমানের দূরভাষ .....
যান্ত্রিক স্বরে
সৃষ্টিমূলের সঙ্গীত
ত্রি মাত্রিক সুরের
একটানা ঝংকার !
কক্ষপথে
ভীষণ শূন্যতায়
অসীম, নীড়,
ধীমান, ক্ষেত্র চৌধূরী -
নিহারবিন্দু
সব ঘুরে চলে
হালালকৃত ছিন্ন শির
তাকিয়ে থাকে
নির্নিমেষ স্থিরনেত্র,
পলকহীন হিমদৃষ্টি ....
ঘন কৃষ্ণছায়ায়
অতিমাত্রা পেতে থাকে,
সঞ্চারণ হয় শক্তি
প্রসারণ ছন্দে
স্থির কাল, মুহূর্ত !
বাকলহীন অর্জুন কাণ্ডে
গড়িয়ে পড়ে
জমাট সময়দানা.....
কাঁচ গুলির ভেতর
ডুবোডুবো সূর্যখণ্ড
গাব্বুগচ্ছার ছোট্ট
পরিখা ভেতর
ডুবতে থাকে ,
চোরাবালির পাকস্থলি
অন্তরালে,
ফুটন্ত কাদাজলে
লাফায় শব্দবায়ু
অমোঘ ত্রিতাল
বেজে চলে
ধা ধিন ধিন ধা,
ধা ধিন ধিন ধা
না তিন তিন না,
তেটে কেটে ধিন ধা...... ।।