বসন্তের মাতাল মলয় ছুটিল বনে বনে,
কোকিল বিহগ উঠল ডাকি কৃষ্ণচূড়ার বনে।
আম্র মুকুল উঠিল জেগে গন্ধ মদির রণে,
ভ্রমর-কুল জুটিল এসে মৌমাছিদের সনে।


কৃষ্ণচূড়ায় রং লেগেছে আগুন রাঙা হয়ে,
বউ-কথা-কও উথাল করে,বউ-কথা-কও কয়ে।
মানব মনে উছল জাগে দখিন সমীরণে,
মৌন তাপস ধ্যানভঙ্গ দেয় ফাগুন আগমনে।


নবীন পত্রের মঞ্জরিরা ওঠে পুন গুঞ্জরি,
বসন্ত মায়াবি জাদুকর সবকে তোলে শিহরি।
শিমুল ফুলের আভা জাগে প্রাণের অনুরাগে,
বসন্তের মাতাল হাওয়ায় জরা পৃথিবী জাগে।


মধুমালতী,কৃষ্ণ,রঙ্গন হয়ে ওঠে ভাই-বোন,
বর্ণবিলাসের প্রাণপ্রাচুরযে ভরে ওঠে ভূবন।
ঝরা পাতার মর্মর ধ্বনি দূর বনান্তে জাগে,
দখিনা মৃদু বায় তখন প্রণয় ভিক্ষা মাগে।


অশোক, পলাশ, মাধবীরা রঙিন বর্ণে সাজে,
রিক্ত মনে প্রিয়ার নূপুর স্বপন হয়ে বাজে।
বিহঙ্গকূল উছল হয় পেয়ে ঋতুর রাজে,
সব মিলিয়ে প্রকৃতি যেন নতুন রূপে সাজে।


বি.দ্র. : অক্ষরবৃত্ত ছন্দ, প্রতি চরণে পর্ব সংখ্যা দুই (১০+৭) মাত্রার