গণপতি নামধারি পেশায় বণিক
সচ্ছল অবস্থা তার মধ্যম ধনিক,
ব্যবসার কাজ হেতু যাত্রা বহুদূরে
শ্রান্ত হয়ে ভাবল মনে বসি না মন্দিরে।


শ্রান্তি নাশি যাত্রা পথে বলিল ভিক্ষুক
খাই নি তো কিছু বাবা মনে বড় দুখ,
ক্ষুধার জ্বালা বড় যে জ্বালা কে না বোঝে?
তবুও গণপতি তা বুঝেও না বোঝে।


রসিকতা করে কয় জল খাও গিয়ে
সোজা পথ ধরে যাও কাছে লোকালয়ে,
হাসিয়া ভিখারী কয় কিছু দাও বাবা
মনোবাঞ্ছা সিদ্ধ হবে যেখানেই যাবা।


ক্রোধে গণপতি কয় তাই যদি হয়
তোমার কথায়। কেন তব ক্ষুধা রয়?
মৃদু হেসে শেষে হলো ভিখারিণী দূর
নিজ কাজে বণিকও গেল বহুদূর।
নিমিত্ত টাকার থলে দেখা নাহি পায়
শোকেতে আকুল হয়ে করে হায় হায়।


ভগ্নমনোরথে বাড়ি ফিরে এসে দেখে
বাসগৃহসহ সব ছাই অগ্নি শিখে।
ক্ষুধার তাড়নে মনে পড়ে বার বার
একি শাপ! ভিখারিণী ক্ষুণ্ন দেবতার।


ব্যগ্র হয়ে গেল তথা সে সেই মন্দিরে
কাকুতিমিনতি করে কয় বিগ্রহরে,
আমি অধম না বুঝে করেছিনু হেলা
ক্ষমা কর  মোরে নাথ দুঃসময় বেলা।
আমি যে অধম পাপী শাস্তি দাও  মোরে
পরিতোষ বাক্যে তুষ্ট করে দেবতারে।


একদা নিশিথে স্বপ্নে দেবতা যে কয়
পুনঃ কর বিকিকিনি যা আছে সঞ্চয়,
দেখবে তুমি সফল হইবে নিশ্চয়।
তবে দুখীরে কখনো ফিরাবে না আর
তারাই তো ভগবান ছায়া দেবতার।


স্বপ্নাদেশে গণপতি করে কারবার
ধীরে ধনিক,সচ্ছল হলো সে আবার,
একদা সন্ন্যাসী এক যায় পাশ দিয়ে
এস বাবা মোর গৃহে বলে কাছে গিয়ে
দান-ধ্যানে,আপ্যাায়নে সাধু হলো তুষ্ট
তারা সন্তুষ্ট না হলে দেব হবে রুষ্ট। (চলমান)


বি.দ্র. ছন্দ অক্ষরবৃত্ত,মাত্রা ৮+৬