রাত তখন একটা, ঘুম আসছিল না , জানালায় চোখ রাখতে চোখ পড়ল ব্রিজের মুখে,পর পর হেভি ভেহিকেল যাচ্ছে, মাঝে মাঝে নিস্তব্ধতার ছন্দপতন ঘটিয়ে এম্বুলেন্স,  বুকের মধ্যে একটা ভয় দলা পাকিয়ে উঠল. অথচ, নিশ্চিত করে জানি, মহামারী বলে নয় মৃত্যু যে কোনো সময় কড়া নাড়া দিতে পারে, আগে তো কখনো পাইনি মৃত্যু ভয়. বরং মৃত্যুতে কাছ থেকে দেখতে দেখতে মনে হওয়া উচিত ছিল বেশ সহজ পদ্ধতি.মাঝে মধ্যে আমি মৃতদেহর স্বপ্ন দেখতাম, মা চলে যাবার পর সে স্বপ্ন আর দেখি না. এখন আমি মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখি খালি পায়ে চলে গেছি অনেক দূর..কোনো কর্পোরেট ইভেন্টে..হাঁকুপাঁকু হয়ে জুতো খুঁজি..কাল রাতে দেখেছিলাম সেই রাজহাঁসটাকে, বুম্বাদের বাড়িতে কাম্‌ড়েছিল আমার হাতে...মোরগজটা ফুল তুলছিলাম আমি...আর সেই শ্যাওলা পড়া বাড়িটা, রোজ সকালে শিউলি ফুল তুলতে যেতাম শরৎ কালে...ছোটবেলায় পালিয়ে যেতাম রোজ খেলতে প্রত্যেক বিকেলে আর সন্ধ্যার আগে মা খুঁজতে বেরোতো আমাকে...জোরে জোরে ডাকতো নাম ধরে.....ছোটবেলা পিছু ডাকে মাঝে মধ্যে আজকাল...স্বপ্নে......আজ থেকে ভাবছি স্বপ্ন দেখবো তাদের যাদের আমি ছুঁয়েছি কোনো না কোনো ভাবে কিন্তু  তারা আমার স্বপ্নে আসেনি আগে....ইচ্ছা দিয়ে কত কিছু জয় করা যায় কিন্তু ইচ্ছাস্বপ্ন কখনো ভোরের স্বপ্ন হয়?  যদি হয়, তাহলে আজ ভোরে আমি স্বপ্ন দেখতে চাই আমার সব কটা কথার উত্তর তুমি দিয়ে গেছো আমার ইনবক্সে-