পাশের ফ্ল্যাট তিনতলার চার নম্বর রান্নাঘরের আলোটা তেরচা করে এসে পড়ে বারন্দা তে


রাত বারো টার পরে আমি বসে থাকি সাথে অলস চেয়ার


রাত ক্রমে গাঢ়তর রাত, নিভে যায় সব আলো যে  যার বাড়িতে


শুধু গলির মুখে জ্বলে নিয়নের আলো দু একটা রিক্সা অথবা অটোর জন্য


গ্রীষ্মের শুরুতে শিরশিরে বাতাস মনে করিয়ে দিয়ে যায় সময়টা‍ ফাল্গুন


কি জানি , এখনো কি তোমার হাতে আছে সময়


দোল খেলবে বলে গোটা এক সপ্তাহ প্রস্তুতি নিতে জ্যোতির্ময়


মনে আছে শেষ এক ফাগুন দোলে র দিনে, এক মুঠো গোলাপী আবির হাতে দিয়ে


বলেছিলে বাঁচা যেন যাচ্ছে না আর, তারপর আমরা কেউ ই আর আমাদের খবর রাখি নি


স্মৃতি আর দারিদ্র তোমাকে পুড়িয়ে দিয়েছে বারং বার


আমি তো বরাবর ই নীরব, তার থেকে বোবা হলে হয়ত খুঁজে পেতে আমার উচ্ছ্বাসের প্রকাশ


আমার সেই সাধের হারমোনিয়াম এখনো অলস দুপুরে রোদে দিয়ে ঝেড়ে মুছে তুলে রাখি


আমি কেমন দিনে দিনে কুনো ব্যাঙ হয়ে যাচ্ছি ,বারন্দা আর এই আরাম চেয়ার


ভাবি বুড়ি হবার আগে ঠিক এক দোলে র দিন রং মেখে দুজনে বেড়াতে বেরোবো কলকাতায়