হে সূর্য তোমার সাম্যবাদ , সমস্ত ধানের বুকে বিচ্ছুরিত রোদের চুম্বন
শুধুমাত্র ক্ষুধা, যার হয়নি বণ্টন সম্পন্ন গোলা আর ঘামের দামে
আমাকে দেয়নি কেউ বীজধান বৃষ্টির দিনে,এখানে মাটি শুধু ফুটিফাটা
নেই কোনো রোপনের আশ্বাস,
জির জিরে কঙ্কাল হাড়ে বয়ে চলে বটে দের ছায়া, অপরাহ্ণ বেলা
খেচরের  ডানাবদ্ধ বিরুদ্ধ হাওয়া, উড়ে এসে জুড়ে বসে পালকের টানে
কারণ অস্তমিত সূর্যে নিভন্ত চুল্লি র উষ্ণতা


ঔজ্বলে হিরের খনি তুলে আনে কয়লা আকরিক
গাঁইতি চালিয়ে বিদীর্ণ মাটি গভীর খননে উঠে আসে  তরল সোনা
গাড়ির চাকা দিনে দিনে পিচ্ছিল গতি, হাওয়ার  ফানুসে আসে বেসরকারী আবগারি  
গরম ভাত ঘিয়ের সুবাস দিয়ে পেট ভরাবে দুর্ভিক্ষ
প্লাটফর্ম, ব্রিজের নিচ আর সব বস্তি অঞ্চল দ্রুত ঢুকে যাচ্ছে তরল কুয়াশায় পেটে
রাশি রাশি তরল পানীয় উষ্ণতা দিয়ে যায় শীতকাতরে
হে সূর্য তোমার সাম্যবাদ


ক্য়ানবেরি জুশ, বারবিকিউ চিকেনের  নৈশভোজ
তরল যে প্রেম হরমোন কে অঙ্ক শেখায়
ডুবে যেতে চায় রাতের কলকাতা ,ডিজের হট্টগোল
কারা যেন হোটেলের সামনে থেকে পায় সারা রাতের বরাদ্দ
অসুস্থের ওষুধ,ফলের রস , পুষ্টিকর দুধ
রাতের জ্যোৎস্না ও কিন্তু আসলে সূর্যালোক
চাঁদের হাত ঘুরে পৃথিবীতে নামে যুক্তিবাদি সাম্য