ট্রেনে আলাপ এক বৃদ্ধার সঙ্গে
এরকম কতজন যে আছে বঙ্গে।
যাদের ব্যাথা শুধু তারা জানে
বড় দীন বার্ধক্যের টানে।
ধরে বসলাম তাকে,
ও বুড়ি মা ,
গল্প বল না
তোমার জীবনের গল্প
তোমার স্বপ্নের গল্প।
যতদূর চিনলাম তাকে -
দেখলাম এক অবহেলিত মা কে।
খুব ছোট্টতেই নাকি বুড়িমার বিয়ে
আলতা-সিঁদুর দিয়ে
শশুর বাড়ি,দেয় পারি
হতে না হতেই পূর্ণ নারী।
অকালে হয় বিধবা
যৌবনের শুরুতেই স্বামীহারা।
তার জীবনে তত দিনে এসেছিল এক সন্তান
সেই হলো বেঁচে থাকার প্রাণ।
অন্নাভাবে সেই মাতা
হলো অন্য বাড়ির কর্মরতা।
তার চোখ জুড়ে ছিল একটাই স্বপন
তার প্রদীপের হয় না যেন অযতন।
স্কুল পাঠালো একবেলা খেয়ে না খেয়ে
মুখ বুজে কষ্ট সয়ে।
অবশেষে মানুষ হলো প্রদীপ এক উচ্চতর
এখন বিশাল এক ব্যাঙ্কে কর্মরত।
কিন্তু তার মায়ের একই হাল!
এত শীতেও গায়ে নেই একখানা শাল।
একাই নাকি থাকে,
একাই খাই শাকে-ভাতে।
তার জীবনে যোগফলে শূণ্যতা
তবুও তার হাসি মুখের ধন্যতা!
মুখে এখনো প্রদীপের নাম
তার ছেলে নাকি করে অনেক বড় কাম!
ধিক্কার তেমন ছেলে কে!
কি হবে অত সম্মান?
যার মনের আলো এত ম্লান।
জনম দুঃখী মা কে
একা কি করে ফেলে রাখে?
সে কি আদৌ শিক্ষিত ?
এত নির্দয় এত পাষন্ড!
তার নেই মানবিকতা,
নেই আন্তরিকতা।
মানবতাহীন নয় মানুষ
এরা সমাজের দূষণ,কলুষ!