বৈশাখের এই প্রথম দিনে
আনন্দিত মন,
আজ বাঙালীর ভূরিভোজের
বিপুল আয়োজন।
সকাল বেলা চায়ের পরে
লুচি-আলুর দম,
সঙ্গে তারই থাকতে হবে
রাবড়ি বা চমচম।
আলু সমেত ফুলকো লুচি
যখন পড়ে মুখে,
মনটা যেন লাফিয়ে ওঠে
অপার্থিব সুখে।
দুপুর বেলা পাতটি পেড়ে
দারুন খাওয়া-দাওয়া,
খাওয়ার পাতেই বাঙালীকে
যথার্থে যায় পাওয়া।
কলার পাতায় নুন,লেবু আর
গরম গরম ভাত,
আর দেরী নয়,একটু পরেই
শূণ্য হবে পাত।
শুক্তো এল প্রথম পাতে
অপূর্ব তার ঘ্রাণ,
ঘি ছড়ানো এ বস্তুটি---
আকুল করে প্রাণ।
তারপরেতে মাছের মুড়োর
সোনা মুগের ডাল,
পোস্ত দিয়ে ভাজা আলু
অল্প দিয়ে ঝাল।
এঁচোড় দিয়ে চিংড়ি মাছের
তরকারিটাও বেশ,
গন্ধে,স্বাদে ভরবে পরাণ--
যখন হবে পেশ।
কাতলা মাছের পেটির ভাজা,
সঙ্গে মাছের ঝোল,
আজ বাঙালীর হৃদয় মাঝে
তুলবে কলরোল।
কচি পাঁঠার মাংস কষা---
আহা!কি তার স্বাদ!
মুখে দিলেই রসনাতে
অপুর্ব আস্বাদ!
কাঁচা আমের চাটনি ছাড়া
শেষ হবে না খাওয়া,
তারপরে চাই মিষ্টি দইয়ের
একটুখানি ছোঁয়া।
রাজভোগটা থাকুক না হয়
সন্ধ্যাবেলার তরে,
খাওয়া যাবে ঘরে ফিরে
হালখাতারই পরে।
খাওয়ার শেষে মশলা দেওয়া
মিষ্টি একটি পান,
পয়লা দিনে এর চেয়ে বেশী
আর কিছু কি চান?


কুয়াশা