মাধুর্য ও মহিমা



কিলবিল করা মেঘের  ভিতর দিয়ে উড়ে গেল একটা মাত্র সাদা বক ,
যদিও ছায়াময় অস্থির আঁধারে কেঁপে উঠছে হৃদয় - আর গাছের গোড়ায়
জলজ সভ্যতার টুবটাব শব্দ   - স্বরলিপির আঁকাবাঁকা অক্ষরগুলো নিঃসঙ্গ
তাই উন্মাদ উচ্ছ্বাসে মত্ত বাতাস হতে চাই  - পাতাগুলো উড়িয়ে নিয়ে যেতে চাই
শেয়ালের গর্তের মুখে  -



আজকাল শেয়াল বেড়েছে খুব  - ঝোপঝাড় সভ্যতার গর্তগুলো থেকে
রাজকীয় চেহারায়  সমৃদ্ধশালী ভ্রাম্যমাণ লুকিয়ে রাখে তীক্ষ্ণ দাঁত
দেখতে পাচ্ছ না তাকে ঠিকই - বামদিক ডানদিক কিংবা পেছনে তাকিয়ে দেখো
তুমি তাকে দেখতে পাবেই  - এবং তুমি দেখতে পেলেই সে ঝোপে মুখ লুকাবে  
কেননা চোখের দিকে সে তাকায় না কখনও -



আর্তস্বরের  সাময়িক অবলোপন করা যায় না কখনও   -
যতই ধারণ ক্ষমতা কমে তিরিশ সেকেন্ডে আসুক না কেন
চতুঃসীমান্তবর্তী স্বপ্নদেখা মহিমাময়ের হৃদয়ের আগুন বার বার চিৎকার করে  -
অন্ধকারের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে গহ্বর ,  সে ঠিকানা সাঁকো হাতড়ায়
হে অসীম ,  তুমি আলো না কালোর দলে ?  
আমার চোখে চসমা , যাতে আমরা একে অন্যের সহযোগিতার যোগ্য হয়ে উঠি  -
পারিনা বলেই নিজেকে মাটির স্তুপ কিংবা  ভাঙা ইটপাথরের ভাপ মনে হয় -



আমাদের জন্ম বায়বীয় বিক্রিয়ায় ,
আমরাও তো প্রদক্ষিণরত নক্ষত্রচূর্ণ  - পঞ্চ ইন্দ্রিয়কে ফাঁকি দেখিয়ে
আকাশে ডানা মেলে দেই  ; মিশিয়ে দেই পাখি অথবা মেঘ -
দ্রুত সম্প্রসারিত হয়ে যাই উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরুর দিকে
কিছুই মনে নেই তোমার ,  হে নদী  
কোটি কোটি নক্ষত্রের মধ্যে আমারাও আছি বায়বীয় ঋতুতেই  
সব ভুলে গেছ তুমি  -  নগ্নতার জন্য মগ্ন হওয়ার দরকার
সাগরের উপর বৃষ্টিপাতের দিকে তাকিয়ে ভেবেছি
শক্তি কখনো ভুতে মেশে না  - শক্তি রূপান্তর হয় মাত্র
আমি খণ্ড খণ্ড হয়ে নিউট্রন কণায় নিরুদ্দেশ হয়ে যাচ্ছি  -