প্রতিরাতে ব্যালকনিতে বসে,
ইজি চেয়ারটাতে হেলান দিয়ে,
চায়ের কাপে চুমু দিচ্ছি,
আর কতোটা সিগারেটের দেহ,
ক্ষত বিক্ষত করছি চুমুতে চুমুতে
তার কোন ইয়ত্তা নেই।
এখন যেন এটাই আমার প্রতিরাতের নিয়ম।


ব্যালকনিতে বসে শূন্য আকাশ পানে চেয়ে রই,
নিমগ্ন মনে আকাশের তারা গুনতে থাকি,
চাঁদের সাথে আনমনে কথা বলতে বলতে,
হঠাৎ, হারিয়ে যাই তোমার স্মৃতির রাজ্যে।


তুমি বলেছিলে, আকাশটা তোমার বড্ড প্রিয়,
সেদিন থেকেই আকাশটাকে আপন করে নিয়েছি,
আমি আর আকাশ যেন এখন এক পরম বন্ধু।


তুমি বলেছিলে,  ভোরের সূর্যোদয় উদিত হওয়া দেখতে তোমার ভীষণ ভালো লাগে,
সেদিন থেকে প্রতিরাত নির্ঘুম থেকে,
পূর্ব আকাশে ভোরের সূর্যোদয় উদিত হওয়া অবলোকন করি।


তুমি বলেছিলে, চাঁদনী রাতে হাতে হাত ধরে হাঁটতে
তোমার কি যে ভালোলাগে
আমি এখন প্রতি চাঁদনী রাতে হাঁটতে থাকি অবিরাম,
তোমার হাতে হাত ধরে হাঁটছি এই ভেবে ভেবে।


তুমি বলেছিলে,লং ড্রাইভ তোমার অনেক ভালো লাগে,
আমি এখন প্রতিরাতে লংড্রাইভে বেরিয়ে পড়ি,
পাশের সিটে তুমি  আমার হাতটি ধরে বসে আছো ভেবে।


তোমার অকস্মাৎ প্রস্থানে,
এই চোখ ঘুমহীন,
এই ঠোঁট ভাষাহীন,
এই দেহ প্রাণহীন
এই মন স্বপ্নহীন।


মনে কি পড়ে,
তুমি বলেছিলে,
তুমি দুঃখ পেলে আমি কষ্ট পাই,
আজতো আমার চোখের পানিতে
শুকনো নদী ভরে স্থলসীমায় বন্যা হচ্ছে !
আজ কি তোমার কষ্ট হয় না ?
আজ কি তোমার মন কাঁদেনা?
নাকি, সে কথা ছিল শুধুই আবেগী কথার কথা ?


আজ তোমার বিরহে,
হৃদয়ে রক্তক্ষরণ বইছে প্রতিক্ষণ,
হৃদয়ের আর্তনাদ,
যদি শুনতে পেতে,
প্রকম্পিত হয়ে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যেতো তোমার পাথর মন।