সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে
অক্টোপাশের মতো,
জড়িয়ে আছে সামাজিক অবক্ষয়।
তবুও ;নিস্তব্দ সমাজ,নির্বাক পৃথিবী।
আর আমি, বিস্মিত চোখে তাকিয়ে দেখি,
সমাজের বিস্তৃত অসঙ্গতি।
মানবিক অনাচার আর সহিংসতা,
হিংস্যুটে মানুষের হিংসাপরায়ণতা,
লোভী মানুষের লালসা,
প্রতারকের প্রতারনা,প্রবঞ্চনা,
বন্ধুদের মিথ্যা ভালোবাসা,
স্বার্থবাদীদের স্বার্থপরতা,
সম্বলহীন মানুষের দৈন্যদশা,
আর; সমাজপতিদের,
অমানবিক নির্যাতন,নিপীড়ন,
নির্ল্লজ্জ;খামখেয়ালীপনা,
বড়ো বেশি দুঃখ দেয়,কষ্ট দেয় আমায়।
আর্থিক অভাব অনটনে,
গরীব মরে অর্ধাহারে,অনাহারে,
আর,আর্থিক স্বচ্ছলতায়,
ধনীরা গা ভাসিয়ে দেয়,
বিলাসীতার জোয়ারে।
গরীবের অবর্ণনীয় দুঃখ,দূর্দশা,
সীমাহীন হাহাকার,
দেখেও,জাগ্রত হয়না মানবতাবোধ,
সৃষ্টি হয়না, একটুও সহানুভূতির পরশ।
জাগতিক সুখের অন্ধমোহে নিমজ্জিত,
মানব নামক হৃদযন্ত্রগুলো ,
একটুও ভাবেনা যে,
এই পৃথিবীটা ক্ষণিকের।
পর পারের ডাক আসিলে,
যেতে হবে,জাগতিক সুখ- স্বাচ্ছন্দ  ফেলে রেখে,
তখন রইবেনা সামাজিক অবক্ষয়,
রইবেনা স্পর্শ কাতর কোন পার্থক্য,
রইবেনা ধনী গরীব বৈষম্য।
তবে কেন?
ক্ষণিকের এই পৃথিবীতে,
এতো অস্থিরতা,
এতো জঘন্যতা,
এতো নির্মমতা।


রচনাকাল)) ১৫/০২/২০০১