১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ সাল
বাঙালি জাতির ললাটে,কলঙ্ক একে দিলো,
মীরজাফরের প্রেতাত্মারা,
নির্মম ভাবে হত্যা করলো স্বপরিবারে
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে।
তারা চেয়েছিলো চিরতরে বঙ্গবন্ধুর
নাম নিশানা, আদর্শ মুছে দিতে।
ভুল ছিল তাদের ধারণা,
বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির চেতনায়, আদর্শে,
যতোদিন এই ধরনী থাকবে, পাখি গান করবে,নদীর স্রোত বহে যাবে,
বঙ্গবন্ধু ততোদিন থাকবে বাঙালির হৃদয়ে চির অম্লান।


২১ শে আগষ্ট ২০০৪ সাল
নরপিশাচরা বঙ্গবন্ধু কন্যা
জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে
হত্যার উদ্দেশ্য গ্রেনেড ছুঁড়ে মারলো,
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামীলীগের বিশাল সমাবেশে,
রাখে আল্লাহ মারে কে,
হাজারো আওয়ামীলীগ নেতা মানবপ্রাচীর তৈরী করলেন,
অলৌকিক ভাবে বেঁচে গেলেন প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা,
নরপিশাচদের গ্রেনেডে নির্মম ভাবে প্রাণ হারালেন আইভী রহমান সহ আওয়ামীলীগের অসংখ্য নেতা।
মহান রাব্বুল আলআমীন ছায়া দিয়ে মানব সেবায় আজও বাঁচিয়ে রেখেছেন প্রিয় নেত্রীকে,
পুরস্কৃত করেছেন দীর্ঘদিন দেশ সেবার জন্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত রেখে।


১৭ আগষ্ট ২০০৫ সাল
সারা বাংলাদেশে একযোগে
গ্রেনেড হামলা করে নরপিশাচরা
শক্তির জানান দিতে চেয়েছিলো,
আল্লাহর অপার রহমতে,
দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে,
বারবার তারা পরাজিত হয়ে
আজ তারা ধ্বংস, আজ তারা অস্তিত্বহীন প্রকৃতির বিচারে।


আগষ্ট মাস যেন বাঙালি জাতির জন্য
বেদনা, কলঙ্ক আর ষড়যন্ত্রের এক বেদনাবিধুর মাস,
আর দুঃখ নয়, শোক নয়, কান্না নয়,
শোক হউক শক্তি, শোক হউক চেতনা,
শোকাবহ আগষ্ট হউক অপশক্তির বিরুদ্ধে রক্তশপথ।