সুখের সন্ধানে অবিরাম পথচলা
সুখ খুঁজে বেড়াই এখানে ঐখানে
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আয়েসি ঘরে
চাকচিক্যের পশরা সাজিয়ে
আভিজাত্যে বিলাসী জীবন,
তবুও প্রশান্তির নিদ্রা যাপনে ব্যর্থ চেষ্টা,
ফ্রিজে রাখা নানান রকম ফলের স্বাদে,
পরিতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে,
বিলাসী জীবনের নানা আয়োজন
তবুও সুখ যেন সোনার হরিণ।


কাজের বুয়া রহিমা সকালে আসে
সারাদিন কাজ করে সন্ধ্যায় ফেরে নিজগৃহে হাসিখুশি মুখে
চেহারায় সুখের ঝিলিক নিয়ে।


বস্তির রমজান আলী খুব সকালে
রিক্সা নিয়ে শূন্য পকেটে বের হয়, সন্ধ্যায় পকেটে হাজার খানিক টাকা আর এক বুক সুখ নিয়ে ফেরে ঘরে।


শৈলেন দাশ সারা রাত জেগে পাহারা দেয় আমাদের মহল্লা
ভোর সকালে এক আকাশ সুখ আর প্রশান্তির ঘুম চোখে নিয়ে ফেরে নীড়ে।


অফিসের পিয়ন কেরামত
প্রাণচঞ্চল মন নিয়ে সারাদিন
ব্যস্ত সময় কাটিয়ে দেয় অফিসের নানান কাজকর্মে,
সেও মুখে অনাবিল হাসি আর মনের দারুন সুখে ফেরে বিকেলে বাড়ি।


নরসুন্দর পংকজ বৈদ্য, মাসে দুইবার যাই তার কাছে
চুল দাড়ি কাটতে,
মনের আনন্দে অতি যত্নে সুন্দর পরিচ্ছন্ন করে দেয় আমায়,
বিনিময়ে তার হাতে তুলে দেই শ তিনেক টাকা,এতেই সে ভীষণ খুশি, হাতে যেন পেল সুখের চাবি।


মাছ নিয়ে বাসায় আসে সপ্তাহে দুইদিন কফিল উদ্দিন
মাছ বিক্রির টাকা হাতে পেয়ে যেন চাঁদ হাতে পেল,
এই খুশিতে মনের সুখে সালাম দিয়ে বলে যায় পরের মঙ্গলবার আসবে বলে।


আর আমার ঘরে
সোনার কারখানা!
ব্যাংকে কোটি টাকা!
সুন্দর বাড়ী,দামী গাড়ী,
রাস্তায় বের হলেই প্রসংশার ফুলঝুরি!
তবুও সুখ নেই মনে !
আমার সুখ লুকিয়ে আছে কোন বনে?
কোথায় পাবো, আমার সুখ নামক সোনার হরিণ !