বহুকাল তোমাকে দেখিনি,
বুকের একটা বিরাট জায়গা জুড়ে হাহাকার।
ছমছম অন্ধকার,
ভুতুড়ে শব্দ ঝড়।
ভৌতিক বাড়ির মতো নিস্তব্ধতা।
বাদুড়ের ঝুল, মাকড়সার জালে ফাঁদ পাতা,
বুকের সারা দেয়াল, দরজা, জানালা।
গা ছমছম অন্ধকার, শো শো করা  মাথার করোটির ভিতর,
যাওয়া আসা বুনো বাতাস।
বহুকাল তোমাকে দেখিনি বলে।
বুকের ভিতর দখল করেছে বন্য কালো কবুতর,
বেঁধেছে বাসা,
দুটো ডিম ফুটে ছাই-কালো রঙের ছানা।
আমার বুকের সেই জায়গা এখন অচেনা,
হাজার বছরের পুরনো একটা পৌরাণিক কাব্যের,
হিংস্র মানবের বসত ঘর।
বহুকাল তোমাকে দেখিনি বলে,
বুকের একটা বিরাট জায়গা জুড়ে,
অনাদি কাল থেকে সেই আকাশে করেনি মেঘ,
ঝরেনি বৃষ্টি আর।
সব অরন্য মাটিতে জমানো সব  জল চুষে চুষে,
করেছে মরুভূমি।
গাছের শরীরে আজ পাতা নেই,
কলি ফোটেনি  অরন্য শরীরে,
জল জল করে  আর্তচিৎকারে কাঁপাতে কাঁপাতে,
এখন কংকাল হয়ে দাঁড়িয়ে বুকের জমিনে।
বহুকাল তোমাকে দেখিনি,
তোমার কপালের তিন টি তিল,
বুকের খোলা জমিনে মুখোমুখি দুটো তিল,
শিমের লতার মতো আঁকাবাকা  নিকশ কালো,
কোকড়ানো চুল।
তোমার বুকের দু স্তন বরাবর ফাঁকে,
আরেকটি কালো ছোট তিল,
আজও কি আগের মতো রয়েছে বলো?
বহুকাল তোমাকে দেখিনি।