দুটো সমুদ্র


দু ধারে তোর দুটো সমুদ্র, কোথায় তুই ডুব দিবি বল,
এক সমুদ্র হাকছে তোরে সকাল বিকাল দিবানিশি,
সূর্য যখন উদয়নে, ঘুম ভেংগে তার দু নয়নে,
আঁখি মেলে সবার আগে প্রেম খোঁজে তোর মনে।
তোর চোঁখ ও তাই খোঁজে, এড়িয়ে যাওয়ার, তোর বাহানা বিফল,
চেষ্টা ত কম করিসনি, পারবি না তাই জানিস মনে।
সে চোঁখের আড়াল হলেই যে তুই বিষণ্ণতায় পুড়ে মরিস,
একলা হলে দুনিয়া টা তোর অন্ধকারে ডুবে মরিস।
তোর চোখের সামনে সে ঘুরছে যেন, কপাল ছুয়ে অদৃশ্য হাতে,
সেই পরশ তোর প্রাণ ছুয়ে যায়, স্বপ্ন তোর দিনে রাতে।
তার বিহনে তুই বাঁচবি কিসে বল?, ভাবনা তোর অহঃনিশি,
সেই সমুদ্রে তুই নাইবি বল?
ভাবনায় তুই আটকে গেলি?
কাঁদছিস যে? চোখে জঁল?
দু ফোটা জঁল ফেলেছিলে মনে পড়ে?  একবার সেই কোনকালে,?
সেই দুফোঁটা জঁল পড়লো যখন সমুদ্রের বিশাল বুকে,
সেই চোখের জঁলে, জল গুলো সব কষ্ট পেয়ে নীলা হলো,
সমুদ্র তা ভাবতে গেলে, দুচোঁখের পাতা তার ছলছলে।
সে সমুদ্রের ডাক কি তোর বুকের ভিতর আঁচড় কাটে?
সেই সমুদ্রে তুই ডুব দিবি বল?


এক সমুদ্র ত বহুকালের, সপ্নের সে মায়াজালে ,
জড়িয়েছ শৃংখলে , রক্তের বন্ধনের আছে কিছু দায়,
বেদনার্ত চারটি মায়ার চোঁখ, ঘুরে ঘুরে ফিরবে তোমায়।
সে সমুদ্রে ডুবে, অতলে হারিয়ে যাবে কি না, পাবে কি না তট,
আরও রয়েছে হাজারো জিজ্ঞাসার অনুত্তর।
মরিচিকার মতো, সেই সমুদ্রের জলে বাহিছ কতকাল,
যৌবনের সুবর্ণ কাল অবহেলায়, মরিচাধরার অসভ্য বাসনা,
তুই নিরুত্তর, গাল বেয়ে টপটপ ক ফোটা জল।
দুটো সমুদ্র আজ তোর চোঁখের সামনে,
ডুবে মরবি তুই,
তুই নিরুত্তর।