গাছ কে বলি, সে জানে না, পাতা গুলো মুড়িয়ে নিল বাকলে,  পাখিকে বললে, মাথা নাড়ায় সে জানে না,  পালকে ঢাকে মুখ,
তাঁরা কে বললে, তাঁরা ছুটে যায় আকাশের কোলে।
সূর্যকে যখনি বলি, মেঘের বুকে লুকায় মুখ,
সাতদিন আর মুখ তোলেনি।
চাঁদ কে বলেছি গতকাল, দেখেছ আজ আমাবস্যা,
আমাকে বলার ভয়ে পূর্ণিমা আজ অমানিশা।
নীরা কেন অভিমানী, সহস্র বছর হলো পার,
আমার অভিধানে দুটো চোখ আমার,
খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত, শ্রান্ত, ভ্রান্ত,
নীরা কেন অভিমান করে আছে?
আজও তার হদিস মেলেনি।
পথে যেতে যেতে, দেখা হলে যখন কিছু অচেনা পথিক,
হাত ধরে বসাই পাশে,
তুমি কি জানো নীরা কেন অভিমান করে আছে?
কেন সে ফিরে আসেনা?
আমার ছলছল চোখে তাকাল পথিক,
সেই উত্তর সেও জানে না।
ফ্যাকাসে মুখে তাকায় আমার পানে,
আমার চোখের গড়ানো জল,
মুছে দেয় নিজ হাতে,
বলে, আমি জানি না।
নীরা কেন অভিমানী কেউ জানে না,
নাকি সবাই জানে শুধু আমি জানি না?