চোখের পাতার নিচে রেটিনার বুকে আমার অশ্রুর বাস,
তাইতো সহসাই ঝরে বুঝি, নীরা তোমার ক্ষুদ্র আঘাতে।
তুমি যতবার আমার মুখ করেছ কালো,
মেঘের অপেক্ষা করেনা আমার চোখ,
অঝোর ধারায় ঝরে যেন প্লাবন এলো।
নাকি আমার চোখের জল সস্তা, কৃত্রিম, রসিকতা?
এমন কিছু ভেবেছ কখনো?
এমন কিছু ভেবেছ কখনো?
তোমার অস্রু বাস করে বুঝি,
চোখের অতল গভীরে, গহব্বরের শেষ চুড়ায়,
তাইতো নীরা সে অশ্রুপাত, প্রবাহের ধারা,
এতটা পথ পেরুতে পেরুতে রেটিনাতে এসে জমে,
শুধু যেন একফোঁটা মুক্তোর বিন্দু,
যেটা তুমি হাতের কচলায় মুছে নাও বারংবার।
আমার দৃষ্টির অলক্ষ্যে থেকে গেছে বারবার।
সেটাই হয়তো নীরা।
নাকি?
নাকি যে বেদনার গল্প শুনিয়েছ আমাকে?
তোমার প্রস্ফুটন এর আগে ঝরে পড়ার সেই গল্প,
যার জন্য কেঁদেছ বহুকাল, বহুবার,
আমার সাথে তোমার মিলনের আগে।
সেই বেদনার অস্রু গড়িয়ে গড়িয়ে,
তোমার চোখ আজ শুস্ক, মরুভূমি সাহারা।
নীরা তোমার চোখের জল কেন গড়িয়ে এলো না?
আমার চোখের জল দেখেছ, কি স্রোতধারায়,
ভিজিয়ে দিতে পারে তোমাকে,
নীরা।