টবেতে একটা লজ্জাবতী চারা লাগিয়েছি কিছুদিন হলো,
অনেক দিন তার পাশে গিয়ে বসিনি, ছুয়ে দেখিনি পাতাগুলো,
আজ সাত সকালে নগ্ন পায়ে, তার কাছে গিয়ে বসি।
বেশ স্বাস্থ্যবাণ হয়েছে ইদানীং, ডালপালায় উথলে সারা টব,
পাতায় পাতায়, হালকা গোলাপি রেশম ফুলে,
যেন ভরেছে আমার বুক।
আমার ডান অনামিকা ছুতেই, লজ্জাবতীর একপাশ,
ঘোমটা টেনে তুলে জড়সড় হল, নববঁধুর মতো,
নীরা ঠিক তোমার মতো।
মনে পড়ে, প্রথম ছুয়েছিলাম তোমার চিবুক যবে,
লজ্জায় মুখ ঢেকে রেখেছিলে, একশো বছর,
সে লজ্জা তোমার।  আজও মনে হলে তুমি,
নীরা তুমি মিটমিটে হাসো।
লজ্জাবতীর রেশমি হালকা গোলাপি ফুল নয় যেন,
নীরার গোলাপি গাল, রক্তিম অস্পৃশ্য ঠোঁট,
ভরে আছে সারা গাছ।
নীরা তুমি আমার মুখোমুখি বসে আছ।
সদা লজ্জিতা নীরা, তোমার মুখোমুখি বসে আছি।
কেন নীরা তোমার মুখোমুখি আসিনি এতকাল?
আমি চিরন্তন কেন এতটা নির্বোধ?
লজ্জাবতীর গায়ে সুচারু কাঁটা,
নীরা তোমার গাল ছুতে গিয়ে বিদ্ধ আমার হাত,
লালিমা রঙে রঙ্গিন তোমার চিবুক,
নীরা তোমাকে পেতে ঝরানো আজ রক্ত,
নীরা তুমি সহজ নও।
নীরা লজ্জাবতীর মতো তোমাকে ঘিরে আছে,
লক্ষ কণ্টক যত।